অধ্যাপক জাকির হোসেন : করোনাকে এখনও যারা হেলা-ফেলা করছেন, এখনও যারা উদাসীন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি – আমি করোনার বিষয়ে খুব সাবধান ও সচেতন ছিলাম। বিশেষ প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যেতাম না। ঘরের বাইরে বের হলে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরতাম, সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতাম। কিছুক্ষণ পর পর হাত স্যানিটাইজ করতাম। বাসায় ফিরে হাত-মুখ ধূয়া থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। কোথাও ভ্রমণ করতে হলে বড় বোতলে স্যানিটাইজিং স্প্রে রাখতাম। সিট, হাতল ভালোভাবে স্যানিটাইজ করে সিটে বসতাম। তবুও কভিড আক্রান্ত হলাম আমার সব সাবধানতা সত্বেও।
আমি সচেতন হলে কি হবে, আমার আশে-পাশে অসংখ্য মানুষ মাস্ক পরে না, দূরত্ব মানে না। হয়তো তাদের কারো সামান্য কভিড-স্পর্শ আমাকে আক্রান্ত করলো। পরিবারের সকল সদস্য আক্রান্ত হলেন। এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। নিখাদ ভালোবাসার সম্পর্ক এক অপরের সাথে, কিন্তু করোনায় বিপন্ন জীবন আর বর্ণনাতীত, ভয়ংকর কষ্ট নিয়ে কেউ কাউকে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সেবা করতে পারছেন না। এরই মাঝে ঘটলো এক বড় বেদনাদায়ক ঘটনা। অসতর্কভাবে ফোনে চাপ পড়ে আমার এক পরিচিতজনের কাছে ফোন যায়। মিস কল দেখে তিন ফোন করে জানতে চান, কেন ফোন করেছি। আমি অসতর্কতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করি। আমার কভিড আক্রান্তের খবর জেনে বলেন, আমার ও পরিবারের রোগমুক্তির জন্য মসজিদে দু’আর ব্যবস্থা করবেন তিনি। এর ৬ দিন পর ফোনে জানতে পারলাম, গতকাল তিনি নিজেই কভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা আবার তার ভয়ংকর রুপ নিয়ে ফিরে আসছে। মৃত্যুদূত হয়ে আপনার আশে-পাশেই ওঁৎ পেতে আছে। সাবধান হোন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নিজে বাঁচুন। অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করুন।’
অধ্যাপক জাকির হোসেন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।