আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে চার দিন ধরে বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। ওই মেয়েটিকে দেখেই প্রেমিক ও তার মা-বাবা সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এলাকাবাসীর উদ্যোগে মেয়েটি এখন ওই প্রেমিকের বাড়িতেই প্রেমিকের ফুপা ময়েজ উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি অবস্থান করছেন প্রেমিকের বাড়ি উপজেলার কালমেঘা গ্রামে।
প্রেমিক শাহরিয়ার শুভ ওই গ্রামের আজাহার আলী মাস্টারের ছেলে। প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়া মেয়েটির বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাটাজোর গ্রামে।
উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম জানান, ছেলে ও মেয়ে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার একই কলেজে পড়াশোনা করে। ছয় মাস ধরে তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাসখানেক আগে ছেলেটি রাতের বেলায় ওই মেয়েটির বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে আটক হন। বিয়ের শর্ত দিয়ে ছেলের বাবা মেয়েটির বাড়ি থেকে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনেন।
তিনি আরো বলেন, দুই পরিবার মিলে গত ১ ফেব্রুয়ারি বিয়ের দিন ধার্য করে। যথারীতি ওই দিন মেয়ের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। ছেলের পক্ষ থেকে ১০-১২ জন ওই মেয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলেও ছেলে ও ছেলের বাবা উপস্থিত না হওয়ায় বিয়ে-রেজিস্ট্রি (কাবিন) হয়নি।
এ ব্যাপারে মেয়েটি বলেন, শাহরিয়ার শুভ ও তার বাবা আমাদের সাথে দু’বার প্রতারণা করেছেন। আমি মান-সম্মান বাঁচাতে বাধ্য হয়ে এ বাড়িতে এসেছি। বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি এই বাড়ি থেকে যাব না। প্রয়োজনে এখানেই মরবো।
ছেলেটির বাবা আজহার আলী মাস্টার বলেন, আমার স্ত্রীকে নিয়ে আমি ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছি।
বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রাহেলা আক্তার বলেন, মেয়েটিকে তার ফুপার কাছে ছেলের বাড়িতেই রাখা হয়েছে। ছেলের বাবা-মা বাড়িতে এলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।