কেউ কেউ পাশ ফিরে ঘুমাতে সবথেকে বেশি পছন্দ করেন। কেউ চিত হয়ে ঘুমাতে ভালোবাসেন। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম বেশ গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত এই নিয়ে বড় কোন গবেষণা হয়নি। আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যসম্মত ঘুমানোর সিস্টেম কোনটি তা আজকের আর্টিকেল এ আলোচনা করা হবে।
হংকং এর এক দল বিজ্ঞানী মনে করেন যে, ইনফ্রারেড ডিভাইস ব্যবহার করে ঘুমন্ত অবস্থায় ব্যক্তির সম্পর্কে সকল তথ্য জানা সম্ভব। আবার মোশন ডিটেক্টর সেন্সর ব্যবহার করে ঘুমের ভঙ্গি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা যায় যে, অর্ধেকের বেশি মানুষ পাশ ফিরে ঘুমোতে পছন্দ করে। ৩৮ শতাংশ মানুষ চিৎ হয়ে ঘুমিয়ে থাকে। উপর হয়ে ঘুমায় সাত শতাংশ মানুষ। যাদের বয়স বেশি তারা কাত হয়ে ঘুমায়। আর অল্প বয়স্ক শিশুরা চিৎ হয়ে বা পাশ ফিরে ঘুমোতে বেশি পছন্দ করে।
নিরাপত্তার স্বার্থে তিন বছরের কম শিশুদের চিত হয়ে শোয়ানো হয়ে থাকে। ডানদিকে পাশ ফিরে ঘুমালে ঘুমের কোয়ালিটি বেশি ভালো হয়ে থাকে। নাক ডাকা বা শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা হয়ে থাকে চিত হয়ে ঘুমানোর ফলে।
যারা নিয়মিত চিত হয়ে ঘুমান তাদের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়। তবে পাশ ফিরে ঘুমালে শ্বাসনালীর উপরের দিকে কোন বাধার সৃষ্টি হয় না। এক্ষেত্রে পাশ ফিরে ঘুমানোটা বেশি উপকারী। তবে আপনার অসুস্থতার পরিমাণ বেশি হলে পাশ ফিরে ঘুমানোটা উপকারী নাও হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় দেখা যায় যে, যারা কাত হয়ে ঘুমান তাদের ঘাড়ে ব্যাথা হয়ে থাকে। পর্তুগালের এক ফিটনেস প্রোগ্রাম থেকে জানা যায় যে, যাদের ঘাড়ে ব্যথা তাদের চিৎ হয়ে ঘুমাতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে আপনার বুকের জ্বালাপোড়া থাকলে বাম পাশে ফিরে ঘুমোতে পারেন। আপনার চোয়ালে ব্যথা থেকে থাকলে উপর হয় না শোয়াটা ভালো। পাশ ফিরে ঘুমানোটাই বেশি উপকারী বলে মনে হচ্ছে। তবে ভিন্ন ভঙ্গিতে ঘুমানোর পেছনে দুশ্চিন্তা না করাই ভালো।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.