জুমবাংলা ডেস্ক : কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা না থাকার সুযোগ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বিমান ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাপে ফেলে এসব সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিমানের নির্বাহী পরিচালকমণ্ডলির সভা ডাকা হয়। সভার আলোচ্যসূচিতে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের তারিখ থেকে স্থায়ীকরণের এজেন্ডা রয়েছে। এমনকি চুক্তিভিত্তিক এসব কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টিও এজেন্ডায় রাখা হয়েছে। এছাড়া ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের ক্যাজুয়াল থাকার মেয়াদ কমানোর বিষয়েও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একই সভায় পেনশনারদের অবসরভাতা ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে বৈঠকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের একজন কর্মকর্তা জানান, তিন ক্যাটাগরিতে ৪১৯ জন কর্মচারীকে স্থায়ী করা এবং পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। বিমানের নিয়ম হচ্ছে ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা ৮৯ দিন পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন। ৯০ দিন হলেই তাদের স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে। অথচ এসব কর্মচারীদের অনেকেই ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। এ কারণে প্রতি ৮৯ দিন পরপর তাদের কাগজপত্র পাল্টাতে হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট চলাচল ঠিক রাখতে পারলেও প্রশাসন প্রায় ভেঙে পড়েছে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে থেকেই অফিসে হাজির হচ্ছেন না বিমানের এমডি ও সিইও মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা। তার পথ অনুসরণ করছেন প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে যাওয়া অর্ধডজন কর্মকর্তা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভাও হচ্ছে না। এমনকি একজন ছাড়া বিমানের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকরাও অফিস করছেন না। তাদের অবর্তমানে কর্মচারীরা বিমানের সদরদপ্তরে প্রতিদিনই মিছিল সমাবেশ করছেন। সেসব সমাবেশ থেকেই চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন।
যখন বিমানের প্রশাসন প্রায় ভেঙে পড়েছে তখন কেন কর্মচারীদের এসব দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে জানতে চাইলে একজন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমরা মানবিকভাবেই দেখছি।
এতো দিন মানবিকভাবে দেখেননি কেন জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, এর জবাব এমডি দিতে পারবেন। এমডি ও সিইও মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে ফোন দেওয়া হলেও তারা সাড়া দেননি।
গাজী গ্রুপের লুট হওয়া ৫০ লাখ টাকার পণ্য কিশোরগঞ্জ থেকে উদ্ধার
বিমানের একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানে শত শত ক্যাজুয়াল কর্মচারী রয়েছেন। মাত্র ৮৯ দিনের এ চাকরি পেতে তারা ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দেন। এ ঘুষের টাকা বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগভাটোয়ারা হয়। সম্প্রতি উত্তরায় সরকার বিরোধী যে মিছিল মিটিং হয় সেখানে অনেক ক্যাজুয়াল কর্মচারীর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। চাকরি স্থায়ী করে ও পদোন্নতি দিয়ে বিক্ষুব্ধ কর্মচারীদের মুখ বন্ধ রাখতে চান দুর্নীতিগ্রস্তরা বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তাছাড়া বিমান সিবিএন নেতারা এসব ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়েও তাদের চাকরি স্থায়ী করতে পারেননি। এখন সেইসব নেতারাই প্রশাসনবিহীনতার সুযোগে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছেন। সূত্র : দেশ রূপান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।