২০২৩ সালের জুন মাসে ঘটে যায় এক বিস্ময়কর ঘটনা। আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়ে চিরতরে হারিয়ে যায় সাবমেরিন টাইটান। টাইটান নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর তার ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার দাবি করে একটি বিশেষজ্ঞ দল।
তারপর প্রায় এক বছর কেটে গেল। এখন এমন এক ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে যা হতভম্ব হয়ে যাওয়ার মতোই। ওই সাবমেরিন টাইটান থেকে ভুতুড়ে কিছু অডিও সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে। টাইটানের মধ্যে পাঁচজন আরোহী অবস্থান করছিলো।
তাদের উদ্দেশ্য ছিল আটলান্টিক সাগরে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া। সাগরে ডুব দেওয়ার পর অনেক গভীরে চলে যায় সাবমেরিন টাইটান। পানির চাপে এটি ধ্বংস হয়ে যায় বলে দাবি করা হয়।
সাবমেরিন টাইটানের থেকে পাওয়া অডিও সিগন্যাল বিশ্লেষণ করার পর প্রথমে মনে হয়েছিল যে, হয়তো ভেতরে কোন আরোহী জীবিত থাকতে পারে। মাদার শিপ থেকে টাইটান যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে সমুদ্রের গভীরে যেতে থাকে তখন একই ধরনের অডিও সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল।
অডিও সিগনাল থেকে ধারণা করা হয় কেউ হয়তো বেঁচে আছে এবং বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করছে। পরে বিশেষজ্ঞরা জানান এ শব্দ কোন আরোহীর পক্ষ থেকে আসার সম্ভাবনা নেই। কেননা সব আরোহী মারা গিয়েছেন। তাহলে এই অডিও সিগন্যাল কীভাবে আসছে তা পরিষ্কার নয়।
তবে অডিও সিগনালে একই শব্দের পুনরাবৃত্তি হওয়া অস্বাভাবিক বলে ধরানো হচ্ছে। টাইটান এর ৫ জন যাত্রী সবাই নিহত হয়েছিল। যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ব্রিটেন এবং পাকিস্তানের নাগরিক ছিল। পাকিস্তানের অন্যতম ধনী পরিবারের সদস্য শাহজাদা দাদ যুক্তরাজ্যে বসবাস করতেন। তার ছেলে ছিলেন একজন শিক্ষার্থী যিনি বাবার সাথে অভিযানে বের হয়েছিলেন। তাকেও মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছিলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।