ধর্ম ডেস্ক : একজন মুসলিম হিসেবে আমরা তখনই সুস্থ ও সুন্দর জীবন কাটাতে পারব যখন আমরা পবিত্র কোরানের অনুশাসন মেনে চলব। অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার যে আজ যুবসমাজ ইসলামী অনুশাসন থেকে বিচ্যুত হয়ে জু’য়া ও ম’দপানের মতো জীবন ধ্বংসকারী কাজে আসক্ত হয়ে পড়েছে। জু’য়াকে সুস্পষ্টভাবে কোরান ও হাদিসে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
জু’য়াকে আরবিতে ‘আল-কিমার’ ও ‘আল-মায়সির’ বলা হয়। এমন খেলাকে ‘আল-কিমার’ ও ‘আল-মায়সির’ বলা হয়, যা লাভ ও ক্ষতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে। অর্থাৎ যার মধ্যে লাভ বা ক্ষতি কোনোটাই স্পষ্ট নয়। ইসলামের আবির্ভাবের আগে ও নবী করিম (সা.)-এর আগমনের সময় তৎকালীন মক্কায় নানা ধরনের জু’য়ার প্রচলন ছিল। তিনি সবগুলোকে নিষিদ্ধ করেছেন।
জু’য়া সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্ট বর্ণনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! ম’দ, জু’য়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো, তাহলেই তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো ম’দ ও জু’য়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায় এবং তোমাদের আল্লাহর স্মরণ ও নামাজ আদায়ে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৯০-৯১)
কোরআনে ম’দ ও জু’য়াকে ঘৃণ্য বস্তু এবং শয়তানের কাজ বলা হয়েছে। এগুলো থেকে দূরে থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। ম’দ-জু’য়ার মাধ্যমে পরস্পর শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়। উপরন্তু এগুলোর মাধ্যমে শয়তান মানুষকে নামাজ ও আল্লাহতায়ালার স্মরণ থেকে বিমুখ রাখে। ম’দ-জু’য়া হারাম হওয়ার বিষয়টি অস্বীকারের কোনো সুযোগ নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।