ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ক্রোয়েশিয়া এবার বিদেশি কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। এতে ইউরোপে চাকরির আশায় থাকা অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশের নাগরিকরা ক্রোয়েশিয়াকে উন্নত দেশে স্থায়ী হওয়ার ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।
২০১৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার পর এবং ২০২৩ সালে ইউরো ও শেনজেন অঞ্চলে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ক্রোয়েশিয়া বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তবে ২০২২ সালের পর প্রথমবার দেশে বিদেশি ওয়ার্ক পারমিটের সংখ্যা বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে।
ক্রোয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে মাত্র ১ লাখ ৩৬ হাজার ২০০ জন বিদেশি কর্মী পারমিট পেয়েছেন, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ কম। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে বছরের শেষে পারমিট সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের নিচে নেমে আসতে পারে।
গত তিন বছর বিদেশি কর্মীদের মধ্যে পারমিটের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ক্রোয়েশিয়া সরকার জানিয়েছে, এ পতনের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—প্রধান শিল্পে চাহিদা কমে যাওয়া, স্থানীয় চাকরির বাজারে পরিবর্তন এবং নতুন শ্রম আইন কার্যকর হওয়া।
সরকার নিয়োগ সংস্থা ও পারমিট প্রদানের প্রক্রিয়ায় এখন কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে। দ্রুত সম্প্রসারিত শ্রম ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবকাঠামো নির্মাণের হার কমে যাওয়া এবং দক্ষ শ্রমিকের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতীতে নেপাল, ভারত ও ফিলিপাইনসহ ইইউ-বহির্ভূত দেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পারমিট সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। এখন ক্রোয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা অদক্ষ শ্রমিকের তুলনায় দক্ষ জনবলকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।