জুমবাংলা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে খুলনা অঞ্চলে থেমে থেমে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে দমকা হাওয়া বইছে। প্রচণ্ড গতির বাতাস হওয়ায় বেশ কিছু অঞ্চলে গাছপালা ভেঙে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জোয়ারে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) ভোর থেকে দমকা বাতাসের সাথে শুরু হয় বৃষ্টি। ঝড় শুরু হওয়ায় উপকূলীয় এলাকা দাকোপ ও কয়রায় ফণীর আতঙ্কে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ঠাঁই নিয়েছে বলে জানা যায়। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) প্রায় সাড়ে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফণীর প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় সব নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জোয়ার উঠেছে। এতে চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দাকোপের বাণীশান্তা বাজারের উত্তর পাশে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া দাকোপের কালাবগী ঝুলন্ত পাড়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে।
দাকোপ সদরের ইউএনও আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দাকোপের বাণীশান্তা বাজারের উত্তর পাশে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়েছেন গ্রামের মানুষ।’
কালাবগী ঝুলন্ত পাড়ার বাসিন্দা মোখতার শেখ বলেন, ‘এখানের বাঁধ এমনিতেই সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। জোয়ারের পানি বাড়ায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ঝুলন্ত পাড়ার ঘরগুলো ভেঙে যেতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, খুলনায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মাঝারি বৃষ্টিপাতসহ দমকা হাওয়া বইছে। যার গতিবেগ বর্তমানে ঘণ্টায় ১৫-২০ কিলোমিটার। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ ঝড়ো হাওয়া কিছুটা বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। যার গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৮ কিলোমিটার হতে পারে। বেলা ১১টা থেকে ১২টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
জানা গেছে, ফণীর প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় সব নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতার জোয়ার উঠেছে। এতে চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দাকোপের বাণীশান্তা বাজারের উত্তর পাশে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। লোকালয়ে পানি ঢোকায় বাণিশান্তা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি অবস্থায় আছে। এছাড়া দক্ষিণের উপকূল কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে রাতভর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। সকাল ৯টায় হঠাৎ বাঁধের দু’টি অংশে ভাঙন দেখা দেয়। এতে স্থানীয় গোলখালী, মাটিয়াভাঙ্গা ও মোল্যাপাড়া গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া দাকোপের কালাবগী ঝুলন্ত পাড়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন, রাতে জোয়ারের পানি ওয়াপদা পেরিয়ে গ্রামে ঢুকেছে। ইউনিয়নের বাঁধের ১০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সেই ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকেই দু’জায়গায় ফাটল ধরেছে। নতুন করে গোলখালী, মাটিয়াভাঙ্গা ও মোল্যাপাড়া প্লাবিত হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।