জুমবাংলা ডেস্ক : ঘন কুয়াশার কারণে রাতের পরের ফ্লাইটগুলোকে দিনের সূচিতে নিয়ে আসতে এয়ারলাইনসগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। দেশের প্রধান বিমানবন্দর শাহজালালের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কুয়াশা পুরোপুরি প্রাকৃতিক বিপর্যয়, এটা আমরা রোধ করতে পারি না। কিন্তু এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা আমাদের ফ্লাইট অ্যাডজাস্টমেন্ট করি আগে থেকে, যেটিকে শীতকালীন সূচি বলা হয়। এবারও এটা করা হয়েছে, যাতে ফ্লাইট বিপর্যয়ের সম্ভাবনা কমে যায়।
‘এরই মধ্যে আমরা এয়ারলাইনসগুলোর কর্তৃপক্ষকেও ব্রিফ করেছি, যাতে তারা ফ্লাইটের পরিস্থিতি সময় সময় যাত্রীদের জানায়। যদি কোনো কারণে ফ্লাইট দেরিও হয়, তাহলে যাত্রীদের যেন তারা টেককেয়ার করে। ১২ ঘণ্টার বেশি হলে যেন হোটেলে নেয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়গুলো আমরা তাদের এরই মধ্যে বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘মূলত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা বেশি পড়ে, এই সময়টিতেই মূলত ডিজরাপশনটা হয়। রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা-৯টা পর্যন্ত। এ সময়ে ফ্লাইট যাদের থাকে, তারা সাধারণত এগুলো দিনে নিয়ে আসেন। ‘এই অ্যাডজাস্টমেন্টটা আমরা করি। এ বছরও এটা করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি। বৈরী আবহাওয়া বা ঘন কুয়াশায় ফ্লাইট ওঠানামায় বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ব্যবহার করা হয় ইনসট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস)।
দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়া কোনোটিতেই নেই এ প্রযুক্তি। ঢাকার হযরত শাহজালাল, সিলেটের ওসমানি ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে আইএলএস প্রযুক্তি আছে, তাও পুরাতন। আর এ কারণে পাইলটের দৃষ্টিসীমা ৬০০ থেকে শূন্য মিটারের মধ্যে নেমে এলে ফ্লাইট উড্ডয়ন বা অবতরণ বাধাগ্রস্ত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।