জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের মাওয়া নতুন বাজার এলাকার ভাড়া বাসায় স্ত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শরিফ মাহমুদ নামে ইমামের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায়। স্বামী মাওলানা শরিফ মাহমুদের সঙ্গে তিনি বয়রাসালায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, পারিবারিকভাবে ২০১৯ সালের ১২ জুন গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় এলাকায় মাওলানা শরিফ মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীপুরে যান শরিফ। সেখানে স্থানীয় ইয়াকুব আলী জামে মসজিদে ইমামতি শুরু করেন তিনি।
কিন্তু আর্থিক দৈন্যদশা ও পরকীয়ায় জড়িয়ে শরিফ কিছুদিন ধরে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে স্ত্রীর কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন শরিফ। এ সময় টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পরকীয়ার ঘটনা বলায় স্ত্রীকে তিনি মারধর শুরু করেন। এরপর রাত ৩টার দিকে উচ্চস্বরে সাউন্ডবক্সে ওয়াজ বাজিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে তরুণীর চিৎকারে পাশের রুমের এক নারী এসে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনার রাতে মোবাইলে খবর পেয়ে গাইবান্ধা থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান বাবা। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, অন্য মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতো স্বামী। সেগুলো আমি সহ্য করতে পারিনাই। অনেক মারধর করছে ওই রাতে। সেদিন খাটে শুইতেও দেয়নি। পরে মেঝেতে ঘুমাই। হুট করে ঘুম থেকে উঠে দেখি দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে আর ওয়াজ বাজছে।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘টেকার জন্যে ছোলটাক (খুশি) আগুনত ফেলে মারবের চাচ্ছিল। বহুত টেকা দিছি এই দুই বছরে। তাও ছোলটেক মারডাং করতো সে (শরিফ)।’
গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম হোসেন বলেন, বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।