‘ডিটওয়াহ’র আঘাতে লণ্ড-ভণ্ড হয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রবল বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বেশ দীর্ঘ সময় ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করেছে সেখানে। এখনও সেখানে রয়েছে ঝড়টি। এটি আরও বৃষ্টি ঝরিয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হতে হতে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যেতে পারে। এই ঝড়ের সাথে বাংলাদেশে বৃষ্টি বা ঝড়ের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিডব্লিউওটি এ তথ্য জানায়।
বিডব্লিউওটি আরও জানায়, আগামী ২ থেকে ৩ ডিসেম্বর পশ্চিমা জেটস্ট্রিমের সাথে কিছু মেঘ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে, যা দেশে আংশিক মেঘলা আবহাওয়ার সৃষ্টি করতে পারে। তখন রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
এদিকে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



