জুমবাংলা ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে সাতক্ষীরায়।সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় জেলা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে ১৪৭টি সাইক্লোন সেল্টার ও ১ হাজার ৭৯৬ আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে প্রস্তুত আম্ফান মোকাবেলায়।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলায় এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সার্বিকভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজ শেষ হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা,ওষুধ এবং নিরাপদ পানি পাঠানো হয়েছে।জেলার উপকূলবর্তী শ্যামনগর উপজেলায় ১০৩টি সাইক্লোন সেল্টার ও প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসায় ১০৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র, আশাশুনি উপজেলায় ২৬ টি সাইক্লোন সেল্টার ও ৮০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, এতিমখানা ও ফায়ার সার্ভিসের আরো ৩টি অতিরিক্ত আশ্রয়কেন্দ্র, কালিগঞ্জ উপজেলার ১৮ টি সাইক্লোন সেল্টার ও ২৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জেলায় সর্বমোট ১৪৭টি সাইক্লোন সেল্টার ও ১ হাজার ৭৯৬ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, উপকূলের মোট বাঁধের মধ্যে ৩৭ টি ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ আছে। এগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করার জন্য জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সোমবার দিনব্যাপী উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং এর মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। পুলিশ-আর্মি-র্যাব এবং স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগে চলছে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার কাজ। আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।