জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তিন মাসের সর্বোচ্চ ৮২ জন নতুন বাহক শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। তবে এ সময় শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে গতকাল আক্রান্তের সংখ্যাই সর্বোচ্চ। ডিসেম্বরের শেষ দিকে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ২৮ ডিসেম্বর ১৫ জন, ২৯ ডিসেম্বর ১৬ জন, ৩০ ডিসেম্বর ১৮ জন আক্রান্ত ধরা পড়ে। চলতি বছরের শুরু থেকে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। আগের দু’দিন ৫৩ জন করে সংক্রমিত চিহ্নিত হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট, নগরীর নয় ল্যাবরেটরি ও নতুন যুক্ত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে গতকাল ১ হাজার ৮৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৮২ জনের মধ্যে শহরের ৭৪ ও ছয় উপজেলার ৮ জন। উপজেলার ৮ জনের মধ্যে হাটহাজারী ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে এক জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৯০৪ জনে। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ৫০৪ এবং গ্রামের ২৮ হাজার ৪০০ জন।
গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৩ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬১০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকালও সবচেয়ে বেশি ৪৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহর ও গ্রামের একজন করে পজিটিভ শনাক্ত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৫ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৬১ জনের নমুনায় শহরের ৮ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ২টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৫ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩২৩ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১৩ ও গ্রামের ২টি আক্রান্ত শনাক্ত হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭৭টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৪টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ারে ২৫ জনের নমুনায় শহরের ১০ জন আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৬টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৫৫ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ৪ ও গ্রামের একজন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
এদিকে, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৬৫ ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ল্যাবে ১৭৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ দুই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ২৩৮ টি নমুনার সবক’টির নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ০ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৯৬, চমেকহা’য় ১৩ দশমিক ১১, চবি’তে ২২ দশমিক ২২, আরটিআরএলে ২৬ দশমিক ৩১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪ দশমিক ৬৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১ দশমিক ৪৪, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৪০, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২১ দশমিক ৪৩ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাব ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে আক্রান্তের হার ০ শতাংশ নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।