জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ সময়ে করোনাক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর পাঁচটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১৪৪ জন পজিটিভ হয়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১০৯ জন ও দশ উপজেলার ৩৫ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৭ হাজার ৫৫৬ জন। এর মধ্যে শহরের ২১ হাজার ৪৮ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৫০৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাউজানে ৯ জন, হাটহাজারীতে ৭ জন, চন্দনাইশে ৫ জন, ফটিকছড়িতে ৪ জন, রাঙ্গুনিয়া ও সীতাকু-ে ৩ জন করে এবং মিরসরাই, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।
শুক্রবার করোনাক্রান্ত ২ রোগীর মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৩৩১ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২৩৫ জন ও গ্রামের ৯৬ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২৬৭ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজার ৯৩৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৬৫০ জন, ঘরে থেকে ২২ হাজার ২৮৭ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৫ জন, ছাড়পত্র নেন ৬৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১৮৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৩৪ জনের নমুনার মধ্যে ৪০ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৩৮ জনের দেহে করোনার ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব ইম্পেরিয়ালে ১১৭ টি নমুনায় ৩১ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ টির ৬ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ৫৪ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে। তবে এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল এবং বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ, চমেকে ৯ দশমিক ২২, চবি’তে ২১ দশমিক ৭১, ইম্পেরিয়ালে ২৬ দশমিক ৪৯ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
উল্লেখ্য, গত দু’দিনের ৪ জনসহ চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১১ দিনে চট্টগ্রামে করোনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৬, ৭, ১০ ও ১১ ডিসেম্বর ২ জন করে এবং ১, ৭ ও ৯ ডিসেম্বর ১ জন করে মারা যান।
এ প্রসঙ্গে বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও করোনা বিশেষজ্ঞ টিমের প্রধান ডা. আবদুর রব আজ বাসস’কে জানান, ‘ফুসফুসের ইনফেকশনে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এদের প্রায় সবাই বয়স্ক এবং আগে থেকে অন্য কোনো জটিলতায় ভুগছিলেন। করোনাক্রান্ত হওয়ার পর অন্যান্য জটিলতাসহ মিলে অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।’
শীতের এ সময়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বয়স্করা তো অবশ্যই, করোনা থেকে নিজে এবং পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে হলে সব বয়সের মানুষকে এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। করোনাভাইরাসে তরুণ বয়সীরা অপেক্ষাকৃত কম ভোগান্তিতে পড়েন। তাদের বাইরে যাতায়াতও তুলনামূলক বেশি। ফলে এ বয়সীরা ভাইরাস বেশি ছড়িয়ে থাকেন। ’ সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।