জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ৩৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজ পাঠানো রিপোর্টে এসব তথ্য মিলে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর দশ ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল মঙ্গলবার ২৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩১ জন ও ছয় উপজেলার ৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ২ জন এবং মিরসরাই, লোহাগাড়া, পটিয়া, কর্ণফুলী ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৮ হাজার ১৯৪ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৪৪৩ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৭৫১ জন। গতকাল করোনায় শহরের এক রোগির মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩৬৭ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি মেট্রোপলিটন হাসপাতালে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৭ ও গ্রামের একজন পজিটিভ পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৩৩ জনের নমুনায় শহরের ৪ জন সংক্রমিত বলে চিহ্নিত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১০ নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের একটিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ২ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৫৬ জনের নমুনায় শহরের ৪ ও গ্রামের একজনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২৮ নমুনায় শহরের ৪ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭ নমুনায় শহরের ২ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১১ নমুনার একটিতেও জীবাণু থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪ ও গ্রামের একজন আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষিত ৩০ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৪ ও গ্রামের একটির রিপোর্ট পজিটিভ হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানোর প্রয়োজন পড়েনি।
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২ দশমিক ১২ শতাংশ, চমেকহা’য় ১২ দশমিক ১২, আরটিআরএলে ৩০, এন্টিজেন টেস্টে ২০, শেভরনে ৮ দশমিক ৯২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৪ দশমিক ২৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১১ দশমিক ৭৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৬ দশমিক ৩১, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হসপিটালে কোন সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।