Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home চমক দিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ দুই পদে আলোচনায় যারা
    জাতীয়

    চমক দিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ দুই পদে আলোচনায় যারা

    Sibbir OsmanOctober 15, 2019Updated:October 15, 20198 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে স্বাধীনতার সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনির হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস আগামী ২৩ নভেম্বর। সম্মেলন তারিখ ঘোষণা হলে প্রতিবারই উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করে সারাদেশের যুবলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। যার যার অবস্থান থেকে প্রার্থিতা জানান দেন। সংগঠনটির শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা লবিং-তদবিরে ব্যস্ত সময় পার করেন।
    যুবলীগ
    এবারের চিত্রটা একটু ভিন্ন। যুবলীগ নেতাদের ভাষায় এবারের কংগ্রেস হচ্ছে ‘বৈরী’ পরিবেশে। ক্যাসিনো ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন যুবলীগ ডেরা। সংগঠনের ঢাকা মহানগর কমিটি থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্ব অনেকের বিরুদ্ধে উঠে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ জুয়াপরিচালনা কিংবা এই অবৈধ ব্যবসা থেকে সুবিধাভোগের অভিযোগ। এসব অভিযোগে যুবলীগের মাঠ কাঁপানো বাঘা বাঘা নেতাদের অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন, রিমান্ডে আছেন। কেউ কেউ টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কারও হয়েছেন। যারা বহিষ্কার কিংবা গ্রেফতার হননি তারাও রয়েছেন আতঙ্কে। এ কারণে এবারের কংগ্রেসে পদপ্রত্যাশী অনেক নেতা চুপসে গেছেন। প্রার্থিতা ঘোষণা নিয়ে ভয়ে আছেন। অনেকেরই ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা।

    ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে প্রায় প্রতিটি সম্মেলনে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব পেয়েছে আওয়ামী যুবলীগ। এ কারণে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে বিরোধী দলের আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবেলায় এবং বিরোধী দলে (আওয়ামী লীগ) থাকলে বিক্ষোভে রাজপথ কাঁপিয়েছে যুবলীগ। দেশের সব রাজনৈতিক দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে যুবলীগ যে সবচেয়ে শক্তিশালী, সেটি রাজনীতি সচেতনরা এক বাক্যে মেনে নেবেন।

    সংগঠন হিসেবে যুবলীগের প্রশংসা যেমন আছে, তেমনি বদনামও কম নয়। সেটি নেতৃত্বের কারণেই। চলমান মা*দক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে যুবলীগের প্রভাবশালী নেতাদের নাম চলে আসছে। অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন। অনেকে গ্রেফতারের অপেক্ষায়। প্রতিষ্ঠার পর এবারের মতো এতটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি যুবলীগ কখনও পড়েছে কিনা সেটি তর্কসাপেক্ষ ব্যাপার। যুবলীগ নেতাদের টেন্ডারবাজি, ক্যাসিনো ব্যবসা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে টানা তিনবার ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের অর্জন ম্লান হতে বসেছে।

    ১৯৭২ সালের নভেম্বরে শেখ ফজুলল হক মণির হাত ধরে যুবলীগের পথচলা শুরু। এর পর থেকে যারাই যুবলীগের নেতৃত্বে এসেছেন প্রত্যেকেরই দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সম্পন্ন ছিলেন। তাদের মেধা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল আকাশচুম্বি।

    যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজমদের মতো দক্ষ সংগঠক। তাদের কোনো কমিটি নিয়েই এতটা সমালোচনা হয়নি, যতটা হচ্ছেন বর্তমান কমিটি নিয়ে। যুবলীগের খোদ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সংগঠনের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর। তাদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দুর্নীতির মাধ্যমে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা অর্জনের। কারও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মা*দক ব্যবসার।

    আগামী ২৩ নভেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

    অন্যান্য সময় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সম্মেলন শেষে কেন্দ্রের সম্মেলন হতো। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মহানগর শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠানের পক্ষে নয় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড; কারণ সম্প্রতি ক্যাসিনো কারবারের দায়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ অনেকেই।

    অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক তলব করেছে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। সংগঠন থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ওমর ফারুকের ‘ক্যাশিয়ার’ হিসেবে পরিচিত সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিস।

    ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা যুবলীগের অনেক নেতাও রয়েছেন দৌড়ের ওপর। সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রথমবারের মতো যুবলীগের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভা। সেই সভা থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশে সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেয় যুবলীগ।

    এবারের যুবলীগের কাউন্সিলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে কমিটিতে, এটি নিশ্চিত। ক্যাসিনো ব্যবসায়ী, দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ নেতারা বাদ পড়বেন। নেতৃত্বে আনা হবে ক্লিন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের। আসতে পারে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ। ইতিমধ্যে নতুন নেতৃত্বের সন্ধান শুরু করেছেন খোদ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সার্বিক সহযোগিতা করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

    প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, যুবলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন ইমেজকে প্রাধান্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ এই সংগঠনের বর্তমান ভাবমূর্তি তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখন এমন নেতা প্রয়োজন, যারা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও সেটা ধরে রাখবেন।

    একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এবারের কংগ্রেসে যুবলীগের শীর্ষ পদ চেয়ারম্যান পদে দেখা যেতে পারে শেখ পরিবারের কাউকে। এক্ষেত্রে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির পরিবারের কাউকে দেখা যেতে পারে। শোনা যাচ্ছে শেখ মণির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশকে যুবলীগের চেয়ারম্যান করা হতে পারে।

    তবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য হলেও সব সময় নিজেকে রাজনৈতিক দৃশ্যপটের আড়ালেই রেখেছেন দেশের একটি খ্যাতনামা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষক। তবে তিনি এখন রাজনীতিতে আগ্রহী কিনা তা জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার পরিবারের কেউ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে উদ্ধৃত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাই শেষ ইচ্ছা বলে মত রয়েছে তাদের।

    শেখ পরশ রাজনীতিতে আসতে না চাইলে শেখ মণির ছোট ছেলে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টা ফজলে নূর তাপসকে যুবলীগের চেয়ারম্যান করা হতে পারে। তাপস রাজনীতিতে আসার পর নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সংসদ সদস্য হিসেবেও তিনি ঢাকায় বেশ জনপ্রিয়।

    এছাড়া চেয়ারম্যান পদে এতদিন আলোচনায় ছিলেন যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভাই শেখ মারুফও। এখন ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে শেখ ফাহিমের নাম আলোচনায় আছে।

    যুবলীগের আসন্ন সম্মেলনে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বাদ পড়ার ঝুঁকিতে আছেন বলে যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান আড়ালে চলে গেছেন। সবশেষ গত শুক্রবার দলটির প্রেসিডিয়াম সভায় অংশ নেননি ওমর ফারুক। তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনো হোতাদের কাছ থেকে সুবিধাভোগ করার অভিযোগ রয়েছে।

    জানা যায়, যুবলীগের সর্বশেষ কমিটি হয় ২০১২ সালের ১৪ জুলাই। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হন হারুন-অর-রশিদ। ১৪৯ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর অনেকটাই একচ্ছত্র অধিপত্য ছিল। পরে আরও দুজনকে নিয়োগ দিয়ে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।

    সংগঠনে ওমর ফারুকের কথাই ছিল শেষকথা। আওয়ামী লীগের একমাত্র সংগঠন, যেখানে কর্মীরা তাদের সংগঠনের প্রধানকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করতে হয়।

    এদিকে ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অন্য সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠন করা হলেও যুবলীগের আর সম্মেলন হয়নি। যুবলীগের দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, দীর্ঘদিন একক অধিপত্য থাকা যুবলীগ চেয়ারম্যানের ইন্ধনেই বেপরোয়া হয়ে উঠে সম্রাট-খালেদরা।

    অভিযোগ রয়েছে, যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজের অনুগতদের বসিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। ঢাকা মহানগর ও দেশব্যাপী জেলা কমিটিগুলোও হয়েছেন তার পকেটের লোক দিয়ে।

    নিজেকে তরুণ ভাবাপন্ন ৭১ বছর বয়সী ওমর ফারুক চৌধুরী যুবলীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই একক ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন। শুরুতে সাবেক নেতাদের পরামর্শ ছাড়াই একটি ঢাউস কমিটি গঠন করেন তিনি। অভিযোগ আছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি অনেক নেতাকে কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। পদভেদে ১০ লাখ থেকে শুরু করে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। ফ্রিডম পার্টি ও যুবদলের অনেকে টাকার বিনিময়ে ঠাঁই পেয়েছেন যুবলীগে বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।

    যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতা জানান, বিগত সাত বছরে তারা চেয়ারম্যানের ভয়ে তটস্থ ছিলেন। মুখ বুজে সব অপকর্ম সহ্য করেছেন। সংগঠনে সব সিদ্ধান্ত তিনি এককভাবে নিয়েছেন। আমাদের শুধু সম্মতি দিতে হয়েছে। তার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মত দিলেই তাৎক্ষণিক বহিষ্কার, অফিসে আসতে বারণ পর্যন্ত করা হয়েছে। তারা বলেন, তার সব অপকর্ম জায়েজ করার মেশিন ছিল যুব জাগরণ প্রকাশনা। এখান থেকে নানা বই ও প্রকাশনা বের করে সবার কাছে ভালো সাজার চেষ্টা করতেন। পুরো সাত বছরে যুবলীগ বলতে আমরা শুধু তাকেই বুঝতাম।

    এমন অবস্থায় যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংগঠন নিয়ে চরম হতাশা সৃষ্টি হয়। তবে শুদ্ধি অভিযানের পর দৃশ্য বদলাতে শুরু করেছে। ওমর ফারুক চৌধুরী গত কয়েকদিনে একবারও যাননি ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।

    অন্যদিকে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের বয়স ৬৫ ছাড়িয়েছে। এবারের যুবলীগের কাউন্সিলে নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়স একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন ৭১ বছর বয়সী চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও ৬৫ বছর বয়সী হারুনুর রশিদ।

    যুবলীগের কংগ্রেস ও নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বৃহস্পতিবার বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুবলীগে কখনও ভোট হয়নি। প্রার্থীও হন না কেউ। তবে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করেন অনেকে। কংগ্রেসের ২য় অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি যুবলীগের নেতৃত্ব ঘোষণা করেন।

    আবারও সাধারণ সম্পাদক কিংবা চেয়ারম্যান পদে থাকতে চান কিনা জানতে চাইলে ৬৫ বছর বয়সী হারুনুর রশিদ বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) যাকে চাইবেন তার নেতৃত্বেই যুবলীগ চলবে। তবে নেতৃত্বের বিষয়ে বয়সের সঙ্গে অভিজ্ঞতাও দেখা উচিত।

    ইতিমধ্যে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষু্ণ্ণকারী নেতাদের বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন। অপরাধী যেই হোক কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার পর চলমান অভিযানে অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার ও রিমান্ড আতঙ্কে আছেন। ফলে আসন্ন সম্মেলনে প্রার্থিতা হওয়া-না হওয়া নিয়েও দোলাচলে আছেন অনেকে।

    এরপরও ভেতরে ভেতরে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। যুবলীগের বর্তমান কমিটির একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য শীর্ষ দুই পদের একটি পেতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

    প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান আতা, মো. ফারুক হোসেন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার নিখিলগুহ প্রমুখ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেশ সময় দিচ্ছেন।

    জানতে চাইলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী শুক্রবার বলেন, ‘সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়েছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে নানা কারণে বিপর্যস্ত যুবলীগ নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে। নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ও বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বস্ত, সৎ, মেধাবী ও যোগ্যদেরই নেতৃত্বে বসাবেন।’

    দুজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও শীর্ষ দুই পদের একটি পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা হলেন মহিউদ্দীন আহমেদ মহি ও সুব্রত পাল।

    এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ভেতরে ভেতরে লবিং করে যাচ্ছেন।

    ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা ছিলেন কিন্তু বর্তমানে কোনো দায়িত্বে নেই- এমন একাধিক সাবেক ছাত্রনেতাকে নিয়েও ভাবনা চলছে যুবলীগের শীর্ষ পদের জন্য। সেক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন এমন নেতারা প্রাধান্য পাবেন। এছাড়া ছাত্রলীগের ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে এমন একাধিক ব্যক্তিকে যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়া হতে পারে। বাদ পড়তে পারেন বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে অনেকে। সেখানে বর্তমান কমিটির সম্পাদকীয় পদ থেকে কাউকে কাউকে পদোন্নতি দেয়া হতে পারে।

    এসবই সম্ভাবনার কথা। এবারের কংগ্রেসে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কথাই হবে শেষ কথা। তিনি নিজেই যুবলীগকে ঢেলে সাজাবেন বলে জানা গেছে।

    সূত্র : যুগান্তর

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    গণভবনে প্রধান উপদেষ্টার

    পতিত স্বৈরাচার এখনও দেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : প্রধান উপদেষ্টা

    August 4, 2025

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল দুর্নীতি-ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ

    August 4, 2025
    Heart

    হার্টের রিংয়ের দাম ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কমলো

    August 4, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Kaspersky India Cybersecurity Solutions

    Kaspersky India Cybersecurity Solutions:Leading Digital Threat Protection Innovations

    গণভবনে প্রধান উপদেষ্টার

    পতিত স্বৈরাচার এখনও দেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : প্রধান উপদেষ্টা

    Kate Spade Fashion Innovations: Leading the Accessory Industry Revolution

    Kate Spade Fashion Innovations: Leading the Accessory Industry Revolution

    KidKraft Children's Furniture Innovations: A Leader in Imaginative Play Solutions

    KidKraft Children’s Furniture Innovations: A Leader in Imaginative Play Solutions

    Chess Grandmaster Malaysia's first GM

    Malaysia’s First Chess Grandmaster: Yeoh Li Tian Claims Historic Title

    Myles Smith: The Soulful Voice Redefining Modern Music

    Myles Smith: The Soulful Voice Redefining Modern Music

    sripur

    স্বামীর গলা কেটে থানায় স্ত্রীর ফোন: ‘আমি আত্মসমর্পণ করতে চাই’

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল দুর্নীতি-ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ

    আবাসিক হোটেল

    আবাসিক হোটেলে উঠে ভুলেও যেসব কাজ করবেন না

    Free Fire x Naruto 2025 Event Transforms Bermuda into Hidden Leaf Village

    Free Fire x Naruto Shippuden Chapter 2 Unleashes Explosive New Characters and Map Overhaul

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.