জুমবাংলা ডেস্ক : নামে মিল থাকার সুযোগ নিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন এক ভুয়া চিকিৎসক। অন্য একজন চিকিৎসকের পরিচয় চুরি করে এইচএসসি পাস ওই ব্যক্তি ‘বিশেষজ্ঞ ডাক্তার’ হিসেবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এত বছর ধরে এ প্র’তারণা করে এসেছেন বলে স্বীকার করেছেন নিজেই।
সোমবার (২৯ জুলাই) ভেজাল বিরোধী অভিযানে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ভুয়া চিকিৎসককে আ’টক করে র্যাব-১১।
মোস্তাক আহমেদ করিম বশির (৪৫) নামে এই ভুয়া চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারির একজন চিকিৎসকের পরিচয় দিয়ে এত বছর রোগী দেখে আসছিলেন। নামে মিল থাকায় তিনি এই ডাক্তারের প্যাড ও ভিজিটিং কার্ডও ব্যবহার করতেন।
মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন উনি এমবিবিএস ডাক্তার না। নিজের নামের সঙ্গে মিল থাকায় উনি ডা. মোস্তাক আহম্মেদের প্যাড ব্যবহার করে রোগীদের প্রেসক্রিপশন দিতেন। আসলে তিনি এইচএসসি পাস।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরও স্বীকার করেছেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে ডাক্তার সেজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। মূলত তিনি একজন মিনারেল পানি সরবরাহের ব্যবসায়ী। আগে ফার্মেসির ব্যবসাও করতেন। তার ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন পিপিএম জানান, গত তিন মাসে ভেজাল বিরোধী অভিযানে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ৯ জন ভুয়া ডাক্তারকে আ’টক করেছে র্যাব। তাদের কাউকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সা’জা দেওয়া হয়েছে। আবার কারো বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ভেজালের বিরুদ্ধে র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।