জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানীতে রমজান মাস উপলক্ষে ক্ষতিকর বিভিন্ন উপকরণ ও কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল ভেজাল আখের গুড়। সেটি ‘খাঁটি গুড়’ হিসেবে সরবরাহ করা হতো ঢাকাসহ সারা দেশে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেই ভেজাল আখের গুড়ের কারখানাগুলোর সন্ধান পায় র্যাব-৫। গত মঙ্গলবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেই ভেজাল গুড়ের কারখানাগুলোয় অভিযান চালায় র্যাব।
এ সময় বাঘা উপজেলার আড়ানী বাজারের ৭টি কারখানা থেকে ৩ হাজার ৬০০ কেজি ভেজাল গুড় জব্দের পর সেগুলো ধ্বংস করা হয়। একইসঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে। আজ বুধবার দুপুরে র্যাব-৫ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী জানান, রমজান মাসে শরবতের জন্য সারা দেশেই আখের গুড়ের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার দিয়াড়পাড়া গ্রামের মিঠন আলী, সবুজ আলী, মহন আলী, রতন প্রামানিক, রকি আহমেদ, কাজিম আলী ও লিটন হোসেন ভেজাল উপকরণ দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে আখের গুড় তৈরি করছিলেন।
তারা চিনির সঙ্গে বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ডালডা ও আটা ব্যবহার করে আখের ভেজাল গুড় তৈরি করে আসছিলেন। যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র্যাব-৫ গতকাল মঙ্গলবার বাঘা উপজেলার আড়ানীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় ভেজাল গুড় ও গুড় তৈরির উপকরণ জনসন্মুখে ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া ভেজাল গুড় উৎপাদন ও বাজারজাতের অপরাধে সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিকদের মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ৩ হাজার ৬০০ কেজি ভেজাল গুড় ধ্বংস করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।