ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মামলা
জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম আদালতে ছেলের বিরুদ্ধে মা ম লা করেছেন হাফেজ আবুল মোজাফফর (৭৮) নামের এক ব্যক্তি। মা ম লা য় তার ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিনের (৪৫) বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি লিখিয়ে নেওয়া, টাকা আদায় ও চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারজানা ইয়াসমিনের আদালতে এই মা ম লা দায়ের করা হয়। আবুল মোজাফফরের ছেলের নাম মো. ইয়াছিন (৪৫)।
হাফেজ আবুল মোজাফফর (৭৮) এলাকার মৃত মৌলভী লাল মিয়ার ছেলে। তিনি নগরের গণি বেকারি মোড় হযরত মোল্লা মিসকিন শাহ (রাহ.) মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত আছেন।
মা ম লা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে হাফেজ আবুল মোজাফফরের জমি ও ঘর দখলে নিয়ে বসবাস করছে ছেলে মো.ইয়াছিন। সম্পত্তি তার নামে লিখে দেয়ার জন্য বাবাকে চাপ দিয়েও না পেরে প্রা ণ না শের হুমকি দেয়। এ ছাড়া বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসার কথা এবং পরিবারের বিভিন্ন প্রয়োজনে ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৩৫ টাকা ধার নেয় ইয়াছিন। সেই টাকাও ফেরৎ দেয়নি।
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর সড়ক দু র্ঘ ট নায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকাকালে লোহাগাড়ার আধুনগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে হেবা দলিলে স্বাক্ষর নিয়ে নেয় ইয়াছিন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রামের বাড়িতে ছেলে সব সম্পত্তি নিজের দাবি করে বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর ১৬ মার্চ পুনরায় বাড়িতে গিয়ে ধার নেওয়া টাকা ফেরৎ চাইলে উত্তেজিত হয়ে ছেলে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, প্রা ণ নাশের হুমকি ও ভরণ-পোষণ না দেওয়াসহ একাধিক অভিযোগে ছেলে মো.ইয়াছিন বিরুদ্ধে বৃদ্ধ বাবা হাফেজ আবুল মোজাফফর আদালতে মা ম লা র আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে মা ম লা টি গ্রহণ করেন এবং লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার জন্য পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন-২০১৩ প্রবর্তন করে। আইন অনুযায়ী, পিতা-মাতা বা দাদা-দাদি বা নানা-নানিকে ভরণ-পোষণ না দিলে তা অপরাধ হিসেব গণ্য হবে। এই অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং জরিমানার টাকা না দিলে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত কা রা দ ণ্ড হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।