জুমবাংলা ডেস্ক : পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কুদরত-ই-খুদা মিলনকে জমি দখল নিয়ে ফৌজদারী মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে জেল হাজতে পাঠানোর এই আদেশ দেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান।
মামলার নথির তথ্য সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী একই উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের বালুবাড়ি এলাকার আ. হামিদ একজন পাথর ব্যবসায়ী। ব্যবসা সূত্রে, তিনি বাংলাবান্ধা এলাকায় একটি ৬৫ শতক সাব কবলা কৃত জমি ক্রয় করে পাথর ব্যবসার সাইড খুলেন। পাশেই বসতবাড়িও নির্মাণ করেন তিনি। ওই জমি দখলের পায়তারা শুরু করে চেয়ারম্যান মিলন ও তার সহযোগীরা।
পরবর্তীতে গত বছরের ২০ মার্চ রাতে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ভোর বেলায় বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রসহ হঠাৎ করে হামিদের বসতবাড়িতে আক্রমণ করেন। এ ঘটনায় বাদীর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করাসহ বেশ কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তারা গুরুতর আহত হন। বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব তিনি জানান এ মামলায় বাংলাবান্ধা চেয়ারম্যান মিলন হাইকোর্ট থেকে ২৮ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনে ছিলেন। এর আগে আদালত মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করেছিলো। আদালতের তলব সাপেক্ষে মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেয়া হয়। সোমবার শুনানিতে সেই রিপোর্টের আলোকে আসামি মিলনসহ এ সময় আর একজন এই মামলার আসামি সাইদুল ইসলামকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এই নিয়ে চেয়ারম্যান মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় ২৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের মূল ফটকের সামনে স্থানীয় এলাকাবাসী, শ্রমিক, শ্রমিকনেতারাসহ সর্বসাধারণ প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-বাংলাবান্ধা মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিকে নিয়ে আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।