জুমবাংলা ডেস্ক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেতা ও কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।
সুজন মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় হলো সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ, জ্ঞান চর্চাকেন্দ্র। এখান থেকেই জ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ ঘটে। শিক্ষার্থীরা জীবনমুখী ও নৈতিক শিক্ষা পায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই যখন ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটে, তখন আমরা অবাক ও ক্ষুব্ধ না হয়ে পারি না।
সুজন মনে করে, ধর্ষণের মতো অপরাধ ও অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে যে তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ জানানো ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা সেখানে তাদের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা আমাদের মনে শঙ্কা তৈরি করছে। তাছাড়া বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরির অভিযোগসহ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিও আমাদের শঙ্কার আরেকটি কারণ।
সুজন ওই অভিযোগটি জরুরি ভিত্তিতে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় বাদীপক্ষ বিচার পাবেন না এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে মনে করে সুজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণসহ দেশের সর্বত্র নারী ও শিশুসহ সকল নাগরিকের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানায় সংগঠনটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।