আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একের পর এক উৎসবের দিনগুলো অতিক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু করোনার আবহে খুশির সেই মুহূর্ত আজ স্তিমিত। তবু কালের নিয়মে উৎসব থেমে থাকে না। আগামী ২৮ মে, বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠী। এদিকে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। ফলে বহু কন্যা-জামাতাই এবার আর আসতে পারবেন না মেয়ের বাপের বাড়িতে। তবু মেয়ে-জামাইয়ের জন্য দূর থেকে হোক বা কাছ থেকে, সমস্ত বাবা-মায়েরাই মঙ্গল কামনা করবেন, আশীর্বাদ করবেন প্রাণ ভরে। তবে জানেন কী, এই জামাইষষ্ঠীর তাৎপর্য আসলে কী? এই অনুষ্ঠান প্রকৃতপক্ষে মেয়েদের মঙ্গল কামনার অনুষ্ঠান। দেখে নিন, জামাইষষ্ঠীর পিছনের আসল কারণ।
ভারতবর্ষ তথা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একসময় সংস্কার ছিল কন্যা যতদিন না পুত্রবতী হয় ততদিন কন্যার পিতা বা মাতা কন্যাগৃহে পদার্পণ করবেন না৷ এই ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিল —সন্তানধারণে সমস্যা বা সন্তান মৃত্যুর (শিশুমৃত্যু) ফলে কন্যার পিতামাতাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হত কন্যার বাড়ি যাওয়ার জন্য৷ সেক্ষেত্রে বিবাহিত কন্যার মুখদর্শন কীভাবে ঘটে? তাই সমাজের বিধানদাতা জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠীকে বেছে নিলেন জামাই ষষ্ঠী হিসাবে ৷ যেখানে মেয়ে জামাইকে নিমন্ত্রণ করে সমাদর করা হবে ও কন্যার মুখ দর্শন করা যাবে৷
আর সেইসঙ্গে মা ষষ্ঠীর পুজো করে তাঁকে খুশি করা যাতে কন্যা শীঘ্র পুত্রমুখ দর্শন করতে পারে৷ বর্তমানে অবশ্য এই সংস্কার পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছে — কন্যার পিতামাতা অথবা যে ব্যক্তি কন্যা সম্প্রদান করবেন তিনি এক বৎসর কন্যার বাড়ি যাবেন না বা গেলেও কন্যার বাড়ির অন্নগ্রহণ করবেন না৷
যদিও আধুনিক শহুরে জীবনে এই সংস্কার বিশেষ গুরুত্ব পায় না৷ সংস্কার যাই হোক না কেন, মেয়ে জামাইকে ডেকে এনে সমাদর করা ও সেইসঙ্গে কন্যা যাতে সন্তানবতী হয় সেই লক্ষ্যে ‘মা ষষ্ঠীকে’ জুড়ে দিয়ে উৎসবের নামকরণ হল ‘জামাইষষ্ঠী’৷-bengali.news18
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।