জার্মানির মধ্য-ডানপন্থী সরকার অভিবাসীদের জন্য দ্রুত (ফাস্ট-ট্র্যাক) নাগরিকত্ব পাওয়ার কর্মসূচি বাতিল করেছে। এতদিন এই কর্মসূচির আওতায় শর্ত সাপেক্ষে অত্যন্ত যোগ্য অভিবাসীদের তিন বছর বসবাসের পর নাগরিকত্ব দেওয়া হতো।
ডয়চে ভেলে ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার জার্মান পার্লামেন্টে এই কর্মসূচি বাতিল করা হয়। এই সুযোগ যে খুব বেশি ব্যবহার হয়েছে বিষয়টা এমন নয়। গত বছর চালু হওয়ার পর কেবল কয়েক’শ অভিবাসী এর মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন।
কর্মসূচিটি যে হঠাৎ করেই বাতিল হলো তাও নয়। গত মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলরের দায়িত্ব নেন ফ্রেডরিখ মেৎস। তাঁর রাজনৈতিক দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেও কর্মসূচিটি বাতিল করার কথা ছিল। বুধবার বাতিলের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ড বলেন, এই কর্মসূচিটি জার্মান নাগরিকত্বের মূল্য কমিয়েছে। তাই বাতিল করাটা দরকার ছিল।
বাতিলের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে অভিবাসনবিরোধী হিসেবে পরিচিত জার্মানির পার্লামেন্টের বিরোধী দল এএফডি-ও। গত বছরের জুন মাসের আগে জার্মানির নাগরিকত্ব নেওয়ার জন্য অভিবাসীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো, অন্তত ৮ বছর। ওই বছর ফাস্ট-ট্র্যাক কর্মসূচিটি চালু করেন তৎকালীন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদনের শর্ত ছিল, জার্মান ভাষার দক্ষতা হতে হবে উচ্চ স্তরের। পাশাপাশি জার্মান সমাজে মানিয়ে নেওয়ার প্রমাণপত্রও দেখাতে হতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।