অনেকে জিমে গিয়ে প্রথমেই ট্রেডমিলে উঠে হাঁটতে শুরু করে দেন। সবার ধারণা ট্রেডমিলে দৌড়ালে ওজন কমে, যা ভুল ধারণা। এর চেয়ে বরং বাইরে হাঁটলে ওজন কমবে। ট্রেডমিলে গতানুগতিক গতি, ছন্দ আর নির্দিষ্ট ছকের বাইরে হাঁটা যায় না। পথে থাকে বৈচিত্র্য। এ ছাড়া পথ সব সময় এ রকম নয়। ফলে পায়ের পেশি এ ক্ষেত্রে কাজ করে বেশি। তাই ক্যালরিও বেশি ক্ষয় হয়।
স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ মাত্রই যান জিমে বা শরীরচর্চা করেন বাড়িতে। অনেকে আবার নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন। তবে ট্রেডমিল নয়, বরং বাইরে হাঁটলে ওজন কমে দ্রুত। শুধু তা–ই নয়, এতে অবসাদ দূর হয় এবং মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য বাইরে নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
আপনি ওজন কমাতে চাইলে নিঃসন্দেহে বাইরে হাঁটাহাঁটি দারুণ এক কার্যকর উপায় হতে পারে। অনেকেই আছেন যাঁরা আবার ট্রেডমিলে হাঁটতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। অথচ এর চেয়ে বাইরে হাঁটলেই বেশি উপকার পাওয়া যায়।
জিমে ট্রেডমিল ব্যবহারের সময় আপনি টিভি দেখতে পারেন, ভেতরে পরিবেশ শীতল থাকে, আপনি গান শোনেন, পাশের কারও সঙ্গে কথা বলেন। অর্থাৎ একই সময়ে অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে ট্রেডমিলে। এ জন্য আপনার মস্তিষ্ককে অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে করার সংকেত দেয়, যা আপনার মনোযোগকে বিচ্ছিন্ন করে।
আপনি ট্রেডমিলে কোনো হিট ট্রেনিং (হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং) করলে অনেক কিছু একসঙ্গে করা যাবে না। অন্যদিকে আপনি বাইরে হাঁটলে আপনাকে মনোযোগী থাকতে হবে। কারণ, উঁচু–নিচু রাস্তা দেখতে হবে, গান শুনলেও তা আপনার হাঁটার পথে ছন্দ আনবে। আর এ সময় ডোপামিন–জাতীয় হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হওয়ায় ওজনও দ্রুত কমবে।
এ ছাড়া বাইরে হাঁটলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, আপনি বাইরে হাঁটলে ট্রেডমিলে হাঁটার চেয়ে বেশি প্রতিকূলতার মুখোমুখি হবেন। ট্রেডমিলে সমান্তরাল ট্র্যাকে হাঁটতে হয় অথচ পথ থাকে উঁচু–নিচু। এতে পায়ের পেশি থাকে অনেক বেশি কার্যকর। উঁচুতে বা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলে পায়ের পেশিতে বেশি চাপ পড়ে, যা পেশি গঠনে খুবই কার্যকর। এতে হৃৎস্পন্দন বাড়ে, ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে, যা খুবই ইতিবাচক। ফলে ক্যালরি বেশি ক্ষয় হয়।
হাঁটাহাঁটির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় কোনো সবুজ উদ্যানে প্রকৃতির সান্নিধ্যে হাঁটা। আশপাশের মানুষের কোলাহল, পাখির কলতান—সব মিলিয়ে ইতিবাচক শক্তি পাওয়া যাবে। হাঁটার সময় সূর্যের আলো পড়ে, যা ভিটামিন ডির উৎস; ভিটামিন ডি আপনার আলসেমি দূর করে চাঙা রাখবে। এ ছাড়া সূর্যের আলোর মাধ্যমে দেহের মধ্যে ‘সারকাডিয়ান রিদম’ প্রবাহ ত্বরান্বিত হয়, যা আপনার রাতের ঘুমে সহায়তা করে। এ ছাড়া গরম, ঠান্ডা বা বৃষ্টিতে নানা ধরনের তাপমাত্রা ও পরিবেশের ভিন্নতার মধ্যে হাঁটলে আপনার মস্তিষ্ক সহনশীলতা পরীক্ষার সুযোগ পাবে, যা খুবই ইতিবাচক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।