জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজার ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম জানু। গত শুক্রবারের কাউন্সিলে ২৫০ ভোটের মধ্যে মাত্র ছয়টি ভোট পান তিনি। গতকাল ভোটের ঘটনায় ফেসবুকে দেওয়া তাঁর এক স্ট্যাটাস নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে।
গতকাল শনিবারের নিজের স্ট্যাটাসে জাহাঙ্গীর লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ এরই মধ্যে কিছু ভালো ভোটার টাকা ফেরত দিয়েছে, বাকিরা আশা করি দুই দিনের মধ্যে দেবে। না দিলে ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করব। এরপর প্রকাশ্যে বেইজ্জতি করা হবে…। ’
এ বিষয়ে গতকাল জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি টাকা দিয়েছি ৬০ জনকে। কিন্তু যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁরা কেউই ভোট দেননি। অনেকে দরদাম করে টাকা নিয়েছেন। যে ছয়টি ভোট পেয়েছি, তা আমার আত্মীয়-স্বজনরা দিয়েছেন। পোস্ট দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে আড়াই লাখ টাকা ফেরত পেয়েছি। ’
এই সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আরো জানান, ২৫০ কাউন্সিলরের মধ্যে তাঁর স্কুলজীবনের বন্ধু ছিল ১৩ জন, ঘনিষ্ঠ সহপাঠী ১৭ জন। বিশ্বস্ত কর্মীসহ ৭০ ভোট অনায়াসে পাবেন বলে আশা করেছিলেন। এর বাইরে তিনি টাকা দিয়েছেন ৬০ জনকে। আশাবাদী ছিলেন ১৩০ ভোট পেলেই নির্বাচিত হবেন।
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘রাজনীতিটাকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করেছিলাম। এখন নষ্টামির চিত্র সবাইকে জানাতে এই স্ট্যাটাস দিয়েছি। ’
গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা।
সম্মেলনের পর দুজন সভাপতি এবং চারজন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে ছয়টি ইউনিয়নের ২৫০ জন কাউন্সিলর গোপন কক্ষে সরাসরি ভোট প্রদান করেন। কাউন্সিলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো আবু তালেব সভাপতি ও ইমরুল হাসান রাশেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।