জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমানকে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দলীয় ফরম বিক্রি বাবদ ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ফেরত দিতে পত্র দেয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এস এম রাকিবুল আহসান টাকা ফেরত চেয়ে এ পত্রটি দেন।
এ সংক্রান্ত পত্রের অনুলিপি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপসহ পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
একই কপি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছেও দেয়া হয়েছে।
এসএম রাকিবুল আহসান স্বাক্ষরিত পত্র সূত্রে জানা গেছে, বিগত সময়ের পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নেতৃবৃন্দ দলের ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। ফরম বিক্রি বাবদ ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আয় হয়েছে। এ টাকা দলের উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে মো. মাহবুবুর রহমান এতদিন ধরে নিজের কাছে গচ্ছিত রেখেছেন। এ টাকা যাতে দলের তহবিলে ফেরত দেয়া হয়, সে জন্য এ বছরের ১৪ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দফতর সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী বলেন, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর কলাপাড়া ও কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর এক মাস আগে দলের ফরম বিক্রি করা হয়।
তিনি বলেন, দলের ওই নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন ফরমের মূল্য ছিল মেয়র পদের জন্য ২৫ হাজার টাকা, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং সংরক্ষিত নারী পদের জন্য ২০ হাজার টাকা। এতে ১১ লাখ টাকা আয় হয়।
মো. ইউসুফ আলী বলেন, এরপর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া, টিয়াখালী ও নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান পদের ফরমের মূল্য ছিল ১০ হাজার টাকা। এ খাতে ৭০ হাজার টাকা আয় হয়।
তিনি বলেন, সব মিলেয়ে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দলীয় সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমানের কাছে গচ্ছিত রয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাসির উদ্দিন বলেন, এতদিন ধরে মৌখিকভাবে মো. মাহবুবুর রহমানের কাছে টাকা ফেরত চাওয়া হয়। দলীয় সভার সিদ্ধান্তের কথাও তাকে জানানো হয়।
তিনি বলেন, দলীয় সভা হয়েছে, গত ৯ মাস হল। এর মধ্যেও তিনি টাকা ফেরত দেননি। যার কারণে এবার দাফতরিকভাবে পত্র দিয়ে টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে।
সৈয়দ নাসির উদ্দিন বলেন, দলের টাকা দলের ব্যাংক হিসাবে জমা থাকবে। অথচ তা না করে তিনি (মাহবুব) টাকাটা নিজের কাছে রেখেছেন। এটা তিনি অন্যায় করেছেন। পত্রের মাধ্যমে তাকে এ টাকাটা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড খেপুপাড়া শাখায় জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পত্র পাওয়ার পরেও এবার তিনি টাকাটা ফেরত না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি এখনও চিঠি পাইনি এবং কেউ আমার সঙ্গে আলাপ করেননি। তাছাড়া ওই সময় যারা মনোনয়ন পাননি আমি তাদের টাকা ফেরত দিয়েছি এ ছাড়া অফিস চালাতে ও একটি ইফতার পার্টিতে কিছু খরচ করেছি। এখন আমার কাছে ৩ লাখ টাকার মতো রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি এখনও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই চিঠি দেয়া হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।