স্পোর্টস ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডে প্রথম টেস্টে তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের ইনজুরিতে কপাল খুলে মোহাম্মদ নাঈম শেখের।
হাতের তালুতে সেলাই পড়ায় মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নামেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ফলে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক ঘটে নাঈমের। কিন্তু অভিষেক রাঙানো তো দূরের কথা, লজ্জার ইতিহাসেই নাম লেখালেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।
শূন্য রানে আউট হয়ে সাদা পোশাকের অভিষেকটা বিবর্ণ হয়ে থাকল তার। মাত্র ৫ বল স্থায়ী হয় নাঈমের অভিষেক ইনিংস। সাউদির বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১০০তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে নাঈমের শুরুটা যে ভীষণ বাজে হলো তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে এমন বাজে রেকর্ডে শুধু মাথা হেট করে নাঈমই থাকছেন না। তার আগে বাংলাদেশের হয়ে এ লজ্জার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন আরও ২৪ ক্রিকেটার। নাঈম ২৫তম।
টেস্ট অভিষেকের আগে নাঈম সবশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন ২ বছর আগে। সেই ম্যাচের দুই ইনিংসেও করেছিলেন শূন্য।
তালিকা আছে— নাঈমের আগে বাংলাদেশের ২৪ ক্রিকেটার নিজেদের অভিষেক টেস্টে রানের খাতা খুলতে পারেননি।
মজার বিষয় হচ্ছে— যার ইনজুরির বদৌলতে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন নাঈম, সেই মাহমুদুল হাসান জয়ও এ তালিকার একজন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষের টেস্টে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।
অভিষেকে ডাক মারার তালিকায় আরও আছেন সাইফ হাসান, জহুরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, শুভাগত হোম, কাজী নুরুল হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুন।
তবে আলমগীর কবির ও কামরুল ইসলাম রাব্বী— এ দুই ক্রিকেটারকে একটু আলাদা করে রাখতে হবে। তারা দুজন অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।
২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ১৬ রানে অপরাজিত থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য করেন কিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ সেলিম। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরেন জহুরুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেছিলেন ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩।
২০১৭ সালে ক্রাইস্টচার্চের এই হ্যাগলি ওভালেই নুরুল হাসান সোহান প্রথম ইনিংসে ৪৭ রানের লড়িয়ে ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বিদায় নেন শূন্যতে। সবশেষ ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে শূন্যতে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য তিনি করেছিলেন ৬৭।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।