স্পোর্টস ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট হেরে সিরিজে ডিআরএস বিতর্ক নিয়ে কোহলির আচরণ বিস্মিত করেছে ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে ক্রিকেট বোদ্ধাদেরও। তার মতো একজন বড় মাপের ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত। তবে টেস্ট শেষে আরও অপ্রত্যাশিত ঘোষণা দিলেন এই তারকা ক্রিকেটের। ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) তিনি এই ঘোষণা দেন।
অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেন, ‘দলকে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যেতে গেল ৭টি বছরের প্রতিটি দিন পরিশ্রম করেছি। নিরবিচ্ছিন্ন অধ্যবসায়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। অত্যন্ত সততার সঙ্গে আমি সেই কাজটা করেছি। কোনো ফাঁক রাখিনি। আসলে সবকিছুকেই কখনো না কখনো থামতে হয়। আমার কাছে ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময় এসে গিয়েছি।’
তিনি আরও লিখেন, ‘দীর্ঘ যাত্রাপথে অনেক সাফল্য এসেছে। ব্যর্থতারও সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু কখনও প্রয়াস বা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি হয়নি। আমি যা কিছু করি, তাতে ১২০ ভাগ উজাড় করে দেওয়ার তত্ত্বে বিশ্বাস করে এসেছি। আমি যদি সেটা করতে না পারি, তাহলে আমি ভালোভাবে জানি যে সেটা করা আমার পক্ষে ঠিক নয়। আমার হৃদয়ে পুরোপুরি স্বচ্ছতা আছে। আমার দলের প্রতি আমি অসৎ হতে পারি না।’
২০১৪ সালে টেস্ট দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন কোহলি। সেই থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দেন তিনি। তার মধ্যে ৪০টিতে জিতে ভারত। ১৭টি হার মানে। ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক তিনি।
২০২১ সালে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন কোহলি। পরে বছরের শেষের দিকে নানা নাটকীয়তা আর কথার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তাকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ালেন। খেলোয়াড় কোহলি এবার কতোটুকু নিজেকে মেলে ধরতে পারেন দেখার বিষয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।