অকারণ ওষুধ নির্ভরতা কমিয়ে প্রাকৃতিক সমাধানে ভরসা রাখা যেতে পারে। এই যেমন ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা–সর্দি–কাশিতে সহায়ক হতে পারে ভিটামিন সি–তে পূর্ণ এই স্মুদি। যাদের ঠান্ডার সমস্যা আছে, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা লেগে যায়, ওষুধ খেতে হয়। তারপর আবার কয়েক দিন পর ফিরে আসে, পানিতে হাত দিলেই হাঁচি আসে, নতুন কোনো স্থানে ঘুরতে গেলে সর্দি লেগে যায়, রাতে নাক বন্ধ হয়ে যায়—এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। এলার্জির সমস্যায় মানুষ আজ ঘরে ঘরে। ঢাকা শহরের দূষিত বাতাস এসব সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়।
চিকিৎসা ইতিহাসে বলা হচ্ছে যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ১৯৩০–এর দশকে ভিটামিন সি ছিল সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা। এটি সত্তরের দশকে এসে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়, যখন নোবেল বিজয়ী লিনাস পোলিং তাঁর গবেষণায় প্রমাণ করেন যে ভিটামিন সি ঠান্ডাজনিত রোগ উপশমে অনেক বেশি কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে যে ঠান্ডা থেকে মুক্তিতে ভিটামিন সির ভূমিকা অনেক বেশি।
এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং অন্য কোনো সমস্যা তৈরি করে না। আমরা আগে থেকেই জানি যে ভিটামিন সি শরীরে থাকে না। যদি কোনো কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন সি শরীরে প্রবেশও করে, তাহলে মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। তাই এই স্মুদি হবে আপনার জন্য সহজ উপশমের চমৎকার হাতিয়ার।
ঠান্ডার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একটি স্মুদি হতে পারে আপনার দীর্ঘদিনের সমস্যার সহজ সমাধান। আপনি নিজেই এই স্মুদি প্রতিদিন খেতে পারবেন, সেই সঙ্গে আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার ঠান্ডার সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে কমে আসবে।
স্মুদির উপকরণ
• ছোট সাইজের আনারস অর্ধেকটা
• ১টা কমলা
• ২টা আমলকি
• ৫টি গোলমরিচগুঁড়া
• ২ গ্লাস পানি
• কয়েকটি তুলসি পাতা
প্রণালি
প্রথমে দুই গ্লাস পানিতে অর্ধেক আনারস, একটি কমলা ও আমলকি ভালো করে ব্লেন্ড করলে সুন্দর হলুদ রঙের পানীয় হবে। এই জুস ছেঁকে একটি জগে নিয়ে তারপর এর সঙ্গে গোলমরিচগুঁড়া ও তুলসি পাতাকুচি করে কেটে মিশিয়ে দিতে হবে। ব্যস হয়ে গেল ভিটামিন সিতে ভরপুর স্মুদি।
সকালে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুই গ্লাস জুস নাশতার পরিবর্তে সাত দিন নিয়মিত খেলে সর্দি–ঠান্ডা–কাশি সব দূর হয়ে যাবে। বুকে জমে থাকা কফও বের হয়ে আসবে। প্রাকৃতিক নিয়ম যদি আপনার উপকারে আসে, তাহলে কেন নয় এই স্মুদি?
স্মুদি খাওয়ার ক্ষেত্রে বাচ্চাদের জন্য সঙ্গে মধু দেওয়া যেতে পারে। আর যাদের আইবিএ বা ইরিটেবল বাওয়েলস সিম্পটম আছে, তাদের এই স্মুদি না খাওয়াই ভালো। কারণ, আইবিএসে আক্রান্তরা কমলা খেলে সমস্যা বাড়ে। তাই স্মুদি খাওয়ার ক্ষেত্রে এই সতর্কতা মেনে চলা উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।