এ ভাইরাস দিয়ে প্রাথমিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে মাড়ি ও ঠোঁটে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। এটি জিনজাইভো স্টোমাটাইটিস নামে পরিচিত। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের প্রাথমিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে অধিকাংশ রোগী কোনো কষ্ট অনুভব করে না।
রোগটি এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। এটি হারপিস ল্যাবিয়ালিস নামে পরিচিত। বারবার হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ঠোঁটে ফুসকুড়িসহ প্রদাহ দেখা দিতে পারে। এটি সাধারণ মানুষের কাছে জ্বরঠোসা নামে পরিচিত। তবে সিফিলিসের কারণেও ঠোঁটে ঘা দেখা দিতে পারে। ক্যানডিড অ্যালবিকানস (ফাঙ্গাস রোগ) সংক্রমণের ক্ষেত্রেও ঠোঁটে প্রদাহ দেখা দিতে পারে।
যারা প্রাপ্তবয়সে হারপেটিক সংক্রমণে আক্রান্ত হন, তাদের দীর্ঘমেয়াদি আকারে হারপিস রোগ শরীরে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে এবং সেখান থেকে এনকেফালাইটিসের মতো মস্তিষ্কেও প্রদাহ হতে পারে। হারপিস ভ্যারিলিসা জোস্টার ভাইরাসের প্রাথমিক সংক্রমণের কারণে চিকেনপক্স হয়।
চিকিৎসা : অ্যাসাইকোভির গোত্রভুক্ত ট্যাবলেট ভাইরাস (৭ থেকে ১৪ দিন) সংক্রমণের মাত্রা এবং ধরন অনুযায়ী খেতে হয়। তবে যারা দীর্ঘমেয়াদি হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে ওষুধ অনেক সময় উপকারে নাও আসতে পারে। রোগীকে এ সময় প্রচুর পানি পান করাতে হয়। সর্বোপরি মুখের অভ্যন্তর পরিষ্কার রাখতে হবে।
এ জন্য কোরোহিক্সিডিন মাউথওয়াশ ০.২ শতাংশ ব্যবহার করতে হবে দুই সপ্তাহ। গর্ভাবস্থায় ভাইরাস ট্যাবলেট সেবন করা যাবে না। তা ছাড়া দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাদের কিডনি সমস্যা আছে অথবা রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি থাকে, তাদের কোনো অবস্থায়ই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা ঠিক নয়। ঠোঁটের ঘা বা তে অ্যাসাইকোভিন ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
লেখক : চর্ম ও যৌ’নরোগ বিশেষজ্ঞ
কনসালট্যান্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
আল-রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।