জুমবাংলা ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাণিজ্যের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সকল ডাকঘর ডিজিটাল করা অপরিহার্য।
‘ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের ‘পথ নকশা’ তৈরি অচিরেই সম্পন্ন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ আমরা শুরু করেছি।’
চিঠি আদান-প্রদান যুগীয় ডাক ব্যবস্থা অচল হয়ে গেলেও জনগণের দোরগোড়ায় ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারির বিশাল চাহিদা পুরণে ডাকঘরকে উপযোগী করার চলমান কর্মসূচি সফল করতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে সেবার মনোভাব নিয়ে আরও নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মোস্তাফা জব্বার সোমবার রাতে ঢাকা জিপিও মিলনায়তনে ডাক অধিদপ্তর আয়োজিত অধিদপ্তরের বিদায়ী মহাপরিচালক মোঃ সিরাজ উদ্দিনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ খলিলুর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত মহাপরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, সাবেক পোস্ট মাস্টার জেনারেল বাহিজা আক্তার, খুলনা রেঞ্জের পিএমজি মোঃ শামসুল আলম এবং ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক এসএম হারুনুর রশিদ বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: মাহবুব-উল-আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্থ ডাক সার্ভিসকে একটা ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে সেটা পেরেছি। ই-কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’
সারাদেশে ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্যকোন প্রতিষ্ঠানের নেই-একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডাকঘরের বিকল্প নেই।
করোনাকালে কৃষকের ফল ও সবজি পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে ডাক সেবার অবদান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জরুরী সেবার আওতায় ডাকঘর একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি।
এ সময় ডাক ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রণীত ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) প্রস্তাব ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে। ডাক বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহসাই ডাকসেবা কাক্সিক্ষত মানে উন্নীত হবে বলেও মন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার ডাকঘর ডিজিটাইজ করার উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিদায়ী মহাপরিচালক সিরাজ উদ্দিনের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। তিনি আশা করেন, পরবর্তী মহাপরিচালক বিদায়ী মহাপরিচালকের কাজ গুলোকে সফলতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।