জুমবাংলা ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে শুধু একটা আলোচনা চলছে। নারী অফিস সহকর্মী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার সঙ্গে জামালপুরের প্রাক্তন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা।
ইতিমধ্যে এ ঘটনায় আহমেদ কবীরকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। তার জায়গায় নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. এনামুল হক। রবিবার (২৫ আগস্ট) এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এ ঘটন প্রকাশ্যে আসার পর বেরিয়ে আসছে একের পর এক গোপন তথ্য। জানা যায়, পিয়ন পদে চাকরি করলেও ডিসি অফিসে দোর্দণ্ড প্রতাপে দাপিয়ে বেড়াতেন সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা। তার প্রভাবের মুখে সব সময় কর্মকর্তা কর্মচারীরা থাকতো তটস্থ।
এরই মধ্যে নতুন একটি সংবাদ এসেছিল গণমাধ্যমের কাছে। নিজের চাকরি বাঁচাতে আহমেদ কবীর সাধনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নাম-পরিচয় উল্লেখ না করে এক সূত্রের বরাতে বলা হয়, স্বামীর চাকরি বাঁচাতে আহমেদ কবীরের বর্তমান স্ত্রী কঠিন হলেও এতে সম্মতি দেয়ার চিন্তা করছেন।
তবে এসব গুঞ্জনের কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে জানতে আহমেদ কবীর ও সাধনার মোবাইল নম্বরে বারবার কল করা হলেও তাদের দু’জনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ওইসব তথ্যের সত্যতা জানতে মঙ্গলবার একদল সাংবাদিক ছুটে যান জামালপুর শহরের বগাবাইদ এলাকায় সাধনার ভাড়া বাসায়।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাধনার বাবা খাজু মিয়া চমকে উঠে বলেন, ‘আপনেগরে কেডা খবর দিল? তিন দিনের ছুটি নিয়া আমার মেয়ে গ্রামের বাড়ি মাদারগঞ্জের সুখনগরীতে গেছে। আপনেরা যা শুনছেন তা সত্যি না।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।