জুমবাংলা ডেস্ক: সারাদেশ ব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সহযোগিতা নিতে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অভিজ্ঞতা নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
ভিডিও কনফারেন্সে কলকাতার ডেপুটি মেয়র বলেন ‘কলকাতা পৌরসভা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকে প্রতিরোধ ও প্রতিকার – এই দুটি ভাগে বিভক্ত করেছেন’। কলকাতা পৌরসভা ২০০৯ সাল থেকে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে তিন স্তর বিশিষ্ট মনিটরিং চালিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ার্ড, বরো ও হেড কোয়ার্টার পর্যায়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
সোমবার দুপুরে গুলশানস্থ নগর ভবনে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সাথে এক ভিডিও কনফারেন্সে কলকাতা পৌরসভা থেকে তিনি এ পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘মশারে করো উৎসে বিনাশ’ এই স্লোগান নিয়ে বাসা-বাড়ি কিংবা উন্মুক্ত জলাশয় যেখানেই এডিস মশার প্রজননস্থল পাওয়া যায় তা ধ্বংস করা হয়। ঢাকার কোন কোন এলাকা ডেঙ্গু প্রবণ অতীন ঘোষ তা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে কৌশলী হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কলকাতা পৌরসভা নয় বছর যাবৎ অবকাঠামোভিত্তিক লড়াই চালিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আরো জানান, কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ফগার মেশিনের সাহায্যে ধোঁয়া প্রয়োগ কার্যকরী হলেও এডিস মশা দমনে এর কার্যকারিতা কম। এডিস মশা দমনে উৎসে নির্মূল করা এবং জনসচেতনতা তৈরি করার বিকল্প নেই।
কলকাতার ডেপুটি মেয়র আরো বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধের লক্ষ্যে আইন পরিবর্ধন করে শাস্তির পরিমান বাড়ানো হয়েছে। ফলে মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র কলকাতার ডেপুটি মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের এই কনফারেন্স থেকে আমাদের অনেক ‘নলেজ শেয়ারিং’ হলো। কলকাতার অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে পারবো। কলকাতার সাথে এ ধরণের ‘নলেজ শেয়ারিং’ এটি প্রথম হলেও শেষ নয়। ভবিষ্যতে দুই শহরের যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।
ভিডিও কনফারেন্সে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো. খলিলুর রহমান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।