জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে রান্না করা মাছে একটি বড়শি পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে ক্যান্টিনে খাবার খেতে এসে হলের এক শিক্ষার্থী মাছের ভেতর এ বড়শি পান। অল্পের জন্য তিনি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান।
ক্যান্টিনের ম্যানেজার বলছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় এমনটা হয়েছে! শিক্ষার্থীরা জানান, স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনের খাবারের মান এমনিতেই খুব নিম্নমানের। তারা বিষয়টি অনেকবার ক্যান্টিনের ম্যানেজার বাবুল মিয়াকে জানিয়েছেন। এরপরও তিনি খাবারে কোনো পরিবর্তন আনেননি।
তাদের অভিযোগ, হলে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থানের কারণে ক্যান্টিনের ম্যানেজার বাবুল মিয়ার এক ধরনের আধিপত্য তৈরি হয়েছে। ফলে কোনো শিক্ষার্থীকে তিনি পাত্তা দেন না।
এসব বিষয়ে হল প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী আরাফ রহমান রুদ্র বলেন, আজ দুপুরে আমরা খেতে বসলে এক ভাইয়ের খাবারে আস্ত একটি বড়শি পাওয়া যায়। এর আগেও আমার এক বন্ধু দুটি বড়শি পায়। পরে বিষয়টি হলের ক্যান্টিনের মালিক বাবুল মিয়াকে বললেও তিনি তেমন পাত্তা দেননি। ক্যান্টিনের খাবারের অবস্থা অনেক খারাপ। বারবার বলার পরও খাবারের মানের কোনো উন্নতি দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে ক্যান্টিন মালিক বাবুল মিয়া বলেন, বড়শি পাওয়া গেছে, বিষয়টি অস্বীকার করছি না। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ভুলে হয়তো এমনটি হয়ে গেছে। এত মানুষের খাবার তৈরি করতে গিয়ে একটু এদিক-সেদিক হয়। তারপরও আগামীতে আরও সতর্ক থাকব।
হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন বলেন, বিষয়টি আমরাও জেনেছি। আমরা হল ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত ভালো খাবার এবং পরিবেশ নিয়ে ক্যান্টিন মালিকের সঙ্গে কথা বলি। তারপরও খাবারের মানসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অসন্তুষ্ট। আমরা ক্যান্টিন মালিককে নিয়ে প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে বসব। আশা করি, সেখানে একটি সমাধান আসবে।
এ বিষয়ে স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। ক্যান্টিন মালিককে ডেকে কথা বলব। ক্যান্টিনের পরিবেশ ও খাবারের মান নিয়ে কোনো আপস করা হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।