স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তান চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৪৬ রানের জুটিতে দিন শেষ করেছিল। আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাটে হতাশায় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় দিনে আসতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
দিনের শুরুতেই চমক দেখিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের ঘূর্ণিতে প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিকের ওপেনিং জুটি ভাঙে ১৪৬ রানের মাথায়। ৫২ রানে ফিরে আবদুল্লাহ শফিক ।
ওভারের শেষ বলে আজহার আলিকে রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে ফেরান সাজঘরে। টাইগারদের দুর্দান্ত দিন শুরুর পর পাক ওপেনার আবিদ আলী অবশ্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতকের দেখা পান। শফিক আর আজহারের বিদায়ের পর আবিদকে সঙ্গ দিতে আসেন বাবর আজম।
তবে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ১৬৯ রানের মাথায় বাবরকে বোল্ড করে মাত্র ১০ রানেই সাজঘরে ফিরিয়েছেন মিরাজ।
তবে ভয়টা ছিল ফাওয়াদ আলমকে (৮) নিয়ে। শেষ কয়েকটি ইনিংসে প্রতিপক্ষকে নাচিয়ে ছেড়েছিলেন ফাওয়াদ। তবে তাকেও ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন তাইজুল। ১৮২ রানের মাথায় তাইজুলের বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের আলতো ছোঁয়া লেগে বল যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। আউটের আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতেই মিলে সফলতা। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৪ উইকেট হারিয়ে বলা যায় বিপাকেই পড়েছে পাকিস্তান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৮৫.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৪।
অন্যদিকে প্রথম দিন ব্যাটিংয়ে দাপট দেখানো বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই। ৪ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৩৩০ রানে। পাকিস্তানের হয়ে ৫ উইকেট নেন হাসান আলি।
প্রথম দিনে শতক করেছিলেন লিটন দাস, ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। সবার আশা ছিল দ্বিতীয় দিনে নিজের শতক পূর্ণ করবেন মুশি। তবে সেটি আর হয়নি। নার্ভাস নাইনটিতে আউট হন তিনি। ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটরক্ষকের কাছে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। মুশফিক আউট হয়েছেন ৯১ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন ৩৮ রানে অপরাজিত। মেহেদী বাদে কেউ ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি, যার ফলে ৩৩০ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম দিনের শতক করা লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। লিটন-মুশফিকের ২০৪ রানের জুটি ভাঙেন হাসান আলি। লিটনকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন টেস্টে অভিষেক হওয়া ইয়াসির আলি। হাসান ছাড়াও পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট পান শাহিন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ। সাজিদ খান নেন এক উইকেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।