ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের আলোচনার স্থবিরতা ও নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগের জেরে জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসি উত্তাল হয়ে উঠেছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) বিরোধী বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে মিছিল করে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ জলকামান ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করে।
গত বছরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে শাসক দল জর্জিয়ান ড্রিম জয় দাবি করার পর থেকে দেশটি রাজনৈতিক অচলাবস্থায় রয়েছে। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে শাসকদল ক্ষমতা ধরে রেখেছে। এরপর থেকেই সরকার ইইউ-তে যোগদানের আলোচনাকে স্থগিত রেখেছে।
স্থানীয় নির্বাচনের দিনই বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। সরকারের নীতির বিরোধিতা করে অধিকাংশ বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলনের অন্যতম নেতা অপেরা গায়ক পাতা বুড়চুলাদজে ইতিমধ্যেই শাসক দলের ছয়জন শীর্ষ নেতার গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে জর্জিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা হাতে মিছিল করেন। বুড়চুলাদজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন, জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে শাসক দলের ছয়জন শীর্ষ নেতাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় দাঙ্গা পুলিশ পিপার স্প্রে ব্যবহার করে। সরকার জানিয়েছে, রাস্তা অবরোধের মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ায় শত শত বিক্ষোভকারীকে ৫ হাজার জর্জিয়ান লারি (প্রায় ১ হাজার ৮৩৫ ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ২১ বছর বয়সী ইয়া বলেন, “রঙিন কিছু পরলে আমাদের সহজেই চেনা যাবে, আর চেনা গেলে জেলে যেতে হবে।” রুস্তাভেলি এভিনিউতে বসানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন নজরদারি ক্যামেরা এই নজরদারির অংশ। তিনি আরও বলেন, “আমি চাই জর্জিয়ান ড্রিম সরিয়ে যাক। আমরা দেশটাকে ফিরে পেতে চাই। আমার বন্ধুরা যারা অবৈধভাবে জেলে রয়েছে, তাদের মুক্তি চাই।”
গত কয়েক মাসে সরকার বিরোধী কর্মী, স্বাধীন গণমাধ্যম এবং পশ্চিমাপন্থি রাজনৈতিক নেতাদের ওপর দমননীতি জোরদার করেছে। অধিকাংশ বিরোধী নেতা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।