শুধু চুলের যত্নে নয় বিউটি ট্রেন্ড হিসেবে শরীরের বিভিন্ন অংশে তেলের ব্যবহার জনপ্রিয়তা হয়ে উঠছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকেও এর চর্চা দেখা যাচ্ছে ব্যাপকভাবে। সৌন্দর্যচর্চার প্রসাধনীগুলো ত্বকভেদে আলাদা। ত্বকের ধরন বুঝে এগুলো ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু তেল সাধারণের ত্বকের জন্যই উপকারী।
ত্বকের যত্নে যে তেলগুলো নিয়ে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে বেশি চর্চা হচ্ছে সেগুলো হলো নারকেল তেল, অলিভ অয়েল ও মারুলা অয়েল। এর মধ্যে মারুলা অয়েল বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় মুখের ত্বকের যত্ন। যা সব ত্বকের জন্য মানানসই। এমনকি বলা হয় ত্বকের সব সমস্যার সমাধানও বটে।
মারুলা তেল ত্বকের পুষ্টির জন্য একটি শক্তিশালী উৎস। এতে রয়েছে ত্বকের জন্য উপকারী অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন সি ও ই আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি উচ্চমানের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল অয়েল। তাই সহজে করতে পারে ব্রণের বংশ নির্বংশ। সরাতে পারে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস আর সারাতে পারে একজিমা ও সোরিয়াসিসের মতো মারাত্মক চর্মরোগ। মারুলা অয়েলকে বলা হয় এলিক্সার অব ইয়ুথ। অর্থাৎ যৌবনের অমৃত।
কারণ, ত্বকের বয়সের লাগাম টানা যেন এর বাঁ হাতের খেল! কাজটি করতে সাহায্য করে এর ভেতরে থাকা এল আরজিনিন আর গ্লুটামিক অ্যাসিডের মতো অ্যামিনো অ্যাসিড। এরা হাইড্রেটিং করে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে। অন্যদিকে এর ভেতর বিদ্যমান ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন ওমেগা ৬, ওমেগা ৯, পালমিটিক, স্টেয়ারিক, ওলিইক ও মিরিস্টিক অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন ফেনলিক যৌগ আর ভিটামিন সি ও ই ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে রিঙ্কেল আর ফাইন লাইন কমায়, কমায় হাইপারপিগমেন্টেশন। এ ছাড়া সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও নানা ধরনের দূষণের ফলে হওয়া ড্যামেজ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ভিটামিন সি ও ই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।