থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন ব্যুরো সাইবার অপরাধ দমনে জাতীয় অভিযানের অংশ হিসেবে বিদেশি অপরাধীদের ঠেকাতে ভিসা যাচাই-বাছাই আরও কঠোর করেছে। সংস্থাটির মুখপাত্র পুলিশ কর্মকর্তা চেয়ংরন রিম্পাদি গতকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ব্যাংকক পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও জাতীয় পুলিশপ্রধান কিত্থারাত পুনপেচের নির্দেশনায় এই কড়াকড়ি চালু করা হয়েছে।

এদিকে ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমিগ্রেশন ব্যুরোর প্রধান পুলিশ লেফটেন্যান্ট জেনারেল পানুমাস বুনিয়ালুগ গত বুধবার কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিদেশিদের ভিসামুক্ত প্রবেশ-সুবিধার অপব্যবহার রোধে কীভাবে নীতিটি বাস্তবায়ন করা হবে, তা নিয়ে আলোচনায় হয়।
থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যটনের অজুহাতে বারবার দেশটিতে প্রবেশ ও প্রস্থানকারী বিদেশিদের এখন থেকে আরও কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা চেয়ংরন রিম্পাদি বলেন, অনেকে ভিসামুক্ত প্রবেশ-নীতিকে (এক প্রবেশে সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকার অনুমতি) ‘ভিসা রান’-এর (কোনো দেশের ভিসা শেষ হওয়ার আগে সীমান্ত পার হয়ে আবার সেই দেশে ফিরে এসে ভিসা বা প্রবেশাধিকার নতুন করা) সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেছে।
পাতায়া, ফুকেট ও হুয়া হিনের মতো প্রবাসী-ঘন এলাকায় নিকটবর্তী সীমান্তে নিয়ে যাওয়া ‘প্যাকেজ ট্রিপের’ সমৃদ্ধ ব্যবসা গড়ে উঠেছে, যেখানে গিয়ে সহজেই ভিসা-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়া যায়। বারবার পর্যটক ভিসা নবায়নের মাধ্যমে অনেক প্রবাসী বহু বছর ধরে দেশটিতে আছেন।
এই সহজ পুনঃপ্রবেশ-ব্যবস্থা অপরাধ চক্রের জন্যও ফাঁকফোকর তৈরি করেছে, যেখানে অনেকে অনলাইন প্রতারণা, অর্থ পাচার ও অনুমতিহীন ব্যবসার মতো কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে। এই ফাঁকগুলো বন্ধে বিমানবন্দর ও স্থলসীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলো এখন থেকে কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া দুবারের বেশি ভিসা রান করা যাত্রীদের প্রবেশে বাধা দেবে।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯০০ জনকে ভিসা সুবিধার অপব্যবহারের কারণে থাইল্যান্ডে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



