আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাপানের টোকিওর শহরের ব্যস্ততম রেলস্টেশনের কাছে বিশালাকৃতির একটি বিড়ালের থ্রিডি বিলবোর্ড সবাইকে চমকে দিয়েছে। শহরের এই ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে পেল্লাই সাইজের দানবীয় বিড়ালের মিউ মিউ ডাকও বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিতে পারে।
১৬৬৪ বর্গফুট এলইডি ডিসপ্লের ওই বিলবোর্ডটিতে বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে বিড়ালটির উপস্থিতি যে কাউকে চমকে দিচ্ছে। ডিসপ্লেটি ১২ জুলাই উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও গত মাস থেকেই পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু করেছে। অনলাইনে ইতোমধ্যে ‘শিনজুকু’ বিড়ালটি সবার নজর কেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফোর-কে রেজল্যুশনের পর্দায় উঁচুতে থাকা বিড়ালটিকে দেখে মনে হয়, সে ডাকতে পারবে। হঠাৎ দেখতে মনে হতে পারে এখনি ঘাড়ের ওপর লাফিয়ে পড়তে পারবে এই বিশাল বিড়াল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬৬৪ বর্গফুট এলইডি স্ক্রিনে হাইপার-রিয়্যালিস্টিক এ দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার জন্য ফোরকে রেজ্যুলুশনের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। বিলবোর্ডটি সকাল ৭টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত চালু থাকে। দিনের বিভিন্ন সময় দানবীয় এই বিড়ালটির রুটিন পরিবর্তিত হয়।
বিলবোর্ডে দেখা যায়, বিড়ালটি সকাল সকাল জেগে ওঠে। বিকেলের দিকে এটি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পথচারীদের দেখে মিউ মিউ ডাকাডাকি করে। আর সন্ধ্যাবেলায় এটি শুয়ে পড়ে এবং মাথা নিচু করে ঘুমিয়ে যায়।
ত্রিমাত্রিক এই বিলবোর্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে ১২ জুলাই। তবে গত মাস থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে বিলবোর্ডের প্রদর্শন শুরু করা হয়েছে। এরই মধ্যে ব্যতিক্রমী এই বিলবোর্ডটি ভীষণ সাড়া ফেলে দিয়েছে।
অনলাইনে বিড়ালটির ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। নেটিনেজরা নতুন এই প্রযুক্তির প্রশংসা করেছেন। শিনজুকু রেলস্টেশন থেকে বের হওয়ার রাস্তার ওপরে বিলবোর্ডটি স্থাপন করা হয়েছে। ব্যস্ত এই জায়গাটিতে রয়েছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবন আর শপিং সেন্টার। প্রতিদিন প্রায় দুই লাখের মতো মানুষ বিলবোর্ডের সামনে দিতে যাতায়াত করে।
ডিসপ্লেটি উদ্বোধন উপলক্ষে চালু করা ‘ক্রস শিনজুকু ভিশন’ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে প্রায় দুই লাখ পথচারী ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রিয়্যালিস্টিক থ্রিডি বিলবোর্ড দেখা যাচ্ছে। গত মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে থ্রিডি স্রোতের একটি বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।