আইপিএলে দীর্ঘদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ঋষভ পান্তের অনুপস্থিতিতে দিল্লি ক্যাপিটালসেরও ক্যাপ্টেন্সি করেছেন। বিশ্বের অন্যন্য ঘরোয়া লিগে ওয়ার্নারকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে। তবে নিজের দেশে কোনও দলের নেতা হওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল অজি এই তারকার। অবশেষে সেই নির্বাসন উঠেছে গেল মাসে। আর তারপরেই ঘরের মাঠে ফের ক্যাপ্টেন্সি করতে দেখা যাবে ডেভিড ওয়ার্নারকে।
আসন্ন বিগ ব্যাশ মওসুমে এই ওপেনিং ব্যাটারকে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছে সিডনি থান্ডার। এর আগেও তিনি বিবিএলে থান্ডারকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৮ সালে কেপ টাউনে স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারির পরে ডেভিড ওয়ার্নারের লিডারশিপ ভূমিকার উপর আজীবন নির্বাসন জারি করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এর সুবাদে অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো পর্যায়েই অধিনায়ক হতে বাঁধা ছিল তার জন্য।
অবশেষে গত মাসে ওয়ার্নারের উপর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। স্বতন্ত্র প্যানেল ওয়ার্নারের আবেদন বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ফলে ঘরের মাঠে ফের ক্যাপ্টেন্সি করতে কোনও বাধা থাকে না ডেভিডের।
ডেভিড ওয়ার্নার গত ২টি বিবিএল মরশুমে থান্ডারের হয়ে অনিয়মিতভাবে মাঠে নামেন। মোটে ৮টি ম্যাচ খেলেন এই সময়ে। জাতীয় দলের হয়ে ব্যস্ত সূচির কারণেই অবশ্য খেলা হয়নি নিজ দেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগ। তবে এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় সাবেক এই ওপেনারকে পুরো মৌসুমের জন্য দলে পাবে সিডনি। সেই কারণেই ফের তাকে নেতৃত্বে ফেরায় থান্ডার।
গত দুই আসরের অধিনায়ক ক্রিস গ্রিনকে সরিয়ে সিডনির অধিনায়ক হচ্ছেন ওয়ার্নার। ক্রিস গিন যদিও সিডনির স্কোয়াডে রয়েছেন। এবছর তিনি অল-রাউন্ডার হিসেবে মাঠে নামবেন। সিডনির নেতৃত্ব ফিরে পেয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘এবারের আসরে পুনরায় সিডনিকে নেতৃত্ব দিতে পারা আমার কাছে বড় বিষয়। আমি শুরু থেকে দলের সঙ্গে রয়েছি। এবার ক্যাপ্টেন হয়ে ফিরছি। নামেন পাশে ‘সি’ থাকলে ভালো লাগে।’
সিডনি থান্ডারের স্কোয়াড
ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), ওয়েস অ্যাগার, ক্যামেরন ব্যানক্রফট, স্যাম বিলিংস, অলিভার ডেভিস, লকি ফার্গুসন, ম্যাট গিলকেস, ক্রিস গ্রিন, লিয়াম হ্যাচার, স্যাম কনস্টাস, নিক ম্যাডিনসন, ন্যাথন ম্যাকঅ্যান্ড্রু, শেরফান রাদারফোর্ড, উইলিয়াম সালজমান, ড্যানিয়েল স্যামস, জেসন সাঙ্ঘা ও তনভীর সাঙ্ঘা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।