জুমবাংলা ডেস্ক: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামী দুই একদিনের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আগামী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস কীভাবে শেষ করা হবে তা নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টারস ফোরামের করোনাকালীন শিক্ষা জরিপ নামে অনলাইন সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এ মাসের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। ১৫ তারিখ থেকে খুলবে কি না, নাকি এই ছুটিটি আরো বাড়বে নাকি কোনো কোনো ক্লাসের জন্য আমরা সীমিত আকারে শুরু করতে পারব- এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে এখনো কাজ করছি।
সে জরিপে বলা হয়েছে, মাধ্যমিকের ৪২ ও উচ্চ মাধ্যমিকের ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলে নিয়মিত অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে ৬৩ শতাংশ। আর এতে ইন্টারনেট ব্যয় ৫০১ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর। আর ইন্টারনেট ব্যয় ৭০ টাকা থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীর। জরিপে অংশ নেওয়া ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর স্মার্ট ফোন আছে বলে জানিয়েছে। আর শিক্ষকরা ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। জরিপে অংশ নেওয়া বিভাগীয় শহরের ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর বাড়িতে টেলিভিশন আছে।
এ জরিপে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে কিছু ধারণা পাওয়া গেছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
দীপু মনি বলেন, সংকটের মধ্যেও আমরা পড়াশোনাকে চালিয়ে নিতে পেরেছি, চালিয়ে যাচ্ছি, অবশ্যই এটি আমাদের কোনো আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তার মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি।
এই চেষ্টাটি চালিয়ে যেতে হবে এটিকে আরো কত ভালো করা যায় কারণ করোনা কতদিনে যাবে, কতদিনে সত্যিকার অর্থে আমরা আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি খুলে দিতে পারব সে বিষয়গুলো কিন্তু এখনো বেশি অনিশ্চিত। সামনেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে সেগুলো নিয়েও আমরা বিভিন্নভাবে ভাবছি যে তাদেরকে কী করে তাদের পরীক্ষার আগে তাদের সিলেবাস কি করে পুরোপুরি শেষ করতে পারে এসব নানান জিনিস আমরা ভাবছি।
করোনাভাইরাস মহামারী মধ্যে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে চট্টগ্রামের ৪৯৬ জন, ঢাকার ৩৯৫ জন, বরিশালের ২০ জন, খুলনার ২৬ জন, ময়মনসিংহের ২৯ জন, রাজশাহীর ৮৫ জন, রংপুরের ৬৭ এবং সিলেট বিভাগের আট জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত প্রশ্ন করে উত্তর সংগ্রহ করে বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর গত ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা বাদে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে। মহামারীর কারণে এবার বার্ষিক পরীক্ষাও হচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।