আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই দিনের সফরে তুরস্কে গেলেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের আমন্ত্রণে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরাইল ও তুরস্কের সম্পর্কে চড়াই-উৎরাই রয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে কীভাবে এই সম্পর্ককে আবারও সচল করা যায় তা জানা আছে।
মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদুল আকসা দখলকারী ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট তুরস্ক সফরের খবরে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবারও তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়া লোকজনের হাতে বহুসংখ্যক ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে, যাতে লেখা ছিল ‘আমরা ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগকে তুরস্কে দেখতে চাই না।’
তুরস্কের এরদোগান সরকার এর আগে বহুবার ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষার কথা বলেছে। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তুর্কি সরকার মুখে ইসরাইলের সমালোচনা করলেও বাস্তবে সব সময় দখলদারদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
গত জানুয়ারিতেই এরদোগান ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের পর জানিয়েছিলেন, আইজ্যাক হারজগ তুরস্ক সফর করবেন।
তুরস্কের ওপর দিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল থেকে ইউরোপে গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণেরও প্রস্তাব দিয়েছেন এরদোগান। এবারের সফরে এরদোগানের সঙ্গে এ বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট।
ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড দখলের পাশাপাশি সব ফিলিস্তিনিকে নিশ্চিহ্ন করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বিশ্বের মুসলমানেরা দখলদারদের সঙ্গে কোনো মুসলিম দেশের সম্পর্ককে ভালো চোখে দেখে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।