জুমবাংলা ডেস্ক : পোলট্রি ফার্মের বর্জ্য ও মুরগির বিষ্ঠার অসহনীয় দুর্গন্ধ সইতে না পেরে অবশেষে বাড়িঘর ফেলে চলে যেতে বাধ্য হলেন মাগুরার শ্রীপুরের মমতাজ বেগম। আশ্রয় নিলেন মদনপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে।
বাড়ির পাশে তিনটি বিশাল পোলট্রি ফার্ম গড়ে তোলেন প্রতিবেশী অনিক মোল্ল্যা। মমতাজ বেগমের বসত ঘরের একেবারেই কোল ঘেঁষে ডোবা কেটে সেখানে ফেলতে শুরু করেন ফার্মের বর্জ্য।
বিষয়টি নিয়ে মমতাজ বেগম একাধীকবার স্থানীয় প্রশাসনের দারস্থ হয়েও কোনো ফল পাননি বলে অভিযোগ করেন।
ঘটনাটি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৭ নম্বর সব্দালপুর ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের। এই গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আছাদুল মোল্ল্যার ছেলে অনিক মোল্ল্যা ওই ফামের্র মালিক।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জনবসতি এলাকায় পোলট্রি ফার্মের মালিক অনিক মোল্ল্যা প্রতিবেশী মমতাজ বেগমের ঘরের পাশেই ডোবা কেটে সেখানে ফার্মের বর্জ্য ও মুরগির বিষ্ঠা ফেলে রেখেছেন।
মমতাজ বেগম বলেন, ‘ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দিলেও বিষ্টার দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। বিশেষ করে দুপুর বেলা রোদে এই দুর্গন্ধ বেশি ছড়ায়। এতে তার স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছেলে ও মেয়ে শ্বাস কষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বামী বিজিবিতে চাকরি করেন এবং ছেলে-মেয়েকে নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু ছেলে-মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি বাবার বাড়িতে গিয়ে বসবাস করছেন।’
মমতাজ বেগম প্রায় ছয় মাস আগে এঘটনার প্রতিকার চেয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বার্হী অফিসারের (ইউএনও) নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। এরপর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার সরেজমিন পরিদর্শন করলেও এর কোন প্রতিকার পাননি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইয়াসিন কবীর জানান, ফার্ম মালিক অনিক মোল্লা ছয় মাসের মধ্যে ফার্মের বর্জ্য অপসারণসহ সকল প্রকার সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেও তা পালন করেননি।
ফার্ম মালিক অনিক মোল্লা অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তিনি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করে দেবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।