স্পোর্টস ডেস্ক : আজ থেকে ২০ বছর আগের এই দিনে টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন করে বাংলাদেশ। টাইগারদের এই নতুন দিনের সূচনা হয় মূলত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রাক্তন সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর হাত ধরে। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত ছিলেন খেলাপাগল এই রাজনীতিবিদ।
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সাবের হোসেন। ক্রিকেটে ক্যন্সারের মতো ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতি নিয়ে জানিয়েছেন নিজের আক্ষেপের কথা। তাঁর মাঠ এবং মাঠের বাইরে প্রতিনিয়তই দুর্নীতি গ্রাস করছে দেশের ক্রিকেটকে।
সাবের বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে দুর্নীতির প্রভাব বিধ্বংসী। দুর্নীতি ক্রিকেটে ক্যান্সারের মতো ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে, সেটি মাঠে এবং মাঠের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই। ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচগুলো নিয়মিতই পাতানো হয় এবং ফলাফলও জানা থাকে বল মাঠে গড়ানোর আগেই। খেলোয়াড় এবং ক্লাবগুলো প্রতিবাদ করে, মিডিয়াতে এই ব্যাপারে রিপোর্টও আসে। কিন্তু এরপরেও কোনও প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হয় না।’
দুর্নীতির এরূপ বিস্তার একটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের জন্য নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক বলে অভিহিত করেন সাবের হোসেন। দায়িত্বে থাকাকালীন প্রতিনিয়তই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে বিসিবিতেও এর কালো থাবা পরিলক্ষিত করা যায়।
আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে তাই সাবের বলেছেন, ‘একটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের জন্য এটি আসলেই অনেক বেদনাদায়ক, যারা কিনা ২০ বছর ধরে খেলছে। আইসিসি প্যানেলে আমাদের একজন আম্পায়ারও নেই। একই রকমভাবে, মাঠের বাইরে বোর্ড ইলেকশন নিয়েও দুর্নীতি লেগেই আছে। বর্তমান ক্রিকেট বোর্ডে প্রভাবশালী কিছু সদস্য রয়েছে যারা নির্লজ্জভাবে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে, বিশেষ করে ঢাকা লিগের বেশিরভাগ ক্লাবে এমনটা দেখা যায়।’
বোর্ডের ইলেকশনও পূর্বনির্ধারিত থাকে বলে বিশ্বাস করেন সাবের হোসেন। আর সেকারণেই এখানে দায়িত্ববোধ এবং বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব প্রকট। সাবেক এই বিসিবি সভাপতির ভাষায়, ‘ইলেকশনের ফলাফলও পূর্বনির্ধারিত থাকে। যখন ইলেকশনের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না, তখন সেখানে কোনো দায়িত্ববোধও থাকে না। ফলে দুর্নীতি বিকাশ লাভ করে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।