জুমবাংলা ডেস্ক : জয়পুরহাট শহরের পূর্ব বাজার পৌর মার্কেট। এ মার্কেটে দোকান মালিক-কর্মচারী, ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই নারী। পুরো মার্কেটে নেই কোনো পুরুষ। তাই মার্কেটটিও ‘নারী মার্কেট’ হিসেবে পরিচিত। এ মার্কেটে নিজেদের আয়ের উৎস খুঁজে পেয়েছেন ৭০০ নারী।
২০১২ সালে মিথিলা নামে এক উদ্যোক্তা একটি মাত্র শো-রুম দিয়ে মার্কেটটি চালু করেন। বর্তমানে এ মার্কেটে উদ্যোক্তার সংখ্যা দেড় শতাধিক। নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে আসা নারীদের এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগে খুশি জয়পুরহাটের সচেতন নাগরিক সমাজ। উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন ও পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘নারী মার্কেট’ নামে পরিচিত পূর্ব বাজার পৌর মার্কেটের প্রতিটি দোকান ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম। এখানে কেউ করছেন তৈরি পোশাকের ব্যবসা, কেউ কাজ করছেন পার্লারে আবার কেউ দিচ্ছেন সেলাই প্রশিক্ষণ। এতে তারা অনেকটাই সফল।
উদ্যোক্তারা জানান, আজ তারা সফল হলেও এখানে আসতে তাদের পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক প্রতিবন্ধকতা।
দোকান মালিকরা জানান, এখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বয়সী মেয়েরা কাজ করছে। একইসঙ্গে অনেকে কাজ শিখছে।
কর্মচারীরা জানান, এখান থেকে পাওয়া বেতন দিয়ে তাদের পরিবারের খরচ ভালোভাবেই চলছে। এখানে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয় না, তাই বাড়িতেও বিভিন্ন কাজে সময় দেয়া যায়।
জয়পুরহাট শহরের পূর্ব বাজার পৌর মার্কেটে কেনাকাটা করতে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ক্রেতারাও। তারা জানান, এখানে সবকিছুই হাতের নাগালে রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- নিরাপদে কেনাকাটা করা যায়।
সচেতন নাগরিক সমাজের মতে, সম্পূর্ণ নারীদের তত্বাবধানে পরিচালিত এ মার্কেট হতে পারে দেশের অন্য এলাকার দৃষ্টান্ত। জয়পুরহাটের নারীদের এটি একটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ। এ উদ্যোগই তাদের জয়ের দ্বার খুলে দিয়েছে।
জয়পুরহাটের এসপি মোহাম্মদ সালাম কবির জানান, এ মার্কেটের নারী উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। মার্কেটটি পুলিশের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের যেকোনো সমস্যায় পুলিশ এগিয়ে আসবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।