স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে চমক দেখানো দল মরক্কোর জয়রথ অবশেষে থামলো। সেই সঙ্গে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দোহার আল বায়েত স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় মরক্কো-ফ্রান্স। ২-০ গোলে হেরে সেমিতে বিদায় নিয়েও রূপকথার পাতায় রইলো মরক্কো।
বিদায়ের আগে ফ্রান্সের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে মরক্কো। তবে ম্যাচের ৫ মিনিটে খেয়ে যাওয়া গোল তারা শোধ দিতে পারেনি। উল্টো ম্যাচের শেষদিকে আরও একটি গোল খেয়ে ব্যবধান বাড়ায়।
এবারের যাত্রা হলো সাঙ্গ। আগামীতে যেতে হবে আরও দূরে। অনেক উঁচুতে…
মরক্কোকে থামিয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা ফ্রান্স খেলবে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে। আগামী রবিবার ১৮ ডিসেম্বর শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে কিলিয়েন এমবাপে ও লিওনেল মেসিরা।
অন্যদিকে টুর্নামেন্টে তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে মরক্কো খেলবে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। শনিবার ১৭ ডিসেম্বর রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটি।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে গোলের দেখা পান থিও হার্নান্দেজ। যা এই ডিফেন্ডারের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গোল। ডি বক্সে এমবাপ্পে গোলের জন্য শট নিলে মরক্কোর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে সেটি হার্নান্দেজের সামনে যায়। এরপর দারুণ দক্ষতায় ফিনিশিং দেন তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।
প্রথমার্ধে আক্রমণের দিক থেকে ফ্রান্স এগিয়ে থাকলেও বলের দখলে এগিয়ে ছিল মরক্কো। ৪৮ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে ফরাসিদের গোলমুখে পাঁচটি শট নেয় তারা, যেখানে দুটি ছিল লক্ষ্যে।
অন্যদিকে পায়ে বল কম থাকলেও (৩৯ শতাংশ সময়) একেরপর এক আক্রমণ করেছে ফ্রান্স। মরক্কোর জাল লক্ষ্য করে ১০টি শট নিয়েছে তারা। যেখানে গোল হওয়া বলটাই লক্ষ্যে ছিল।
বিরতির পরও আক্রমণে ধার কমায়নি মরক্কো। বদলী নামা কোলো মুয়ানির গোলে জয়ের ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। অন্যদিকে প্রথম আফ্রিকান ও প্রথম আরব দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে খেলার রেকর্ড ফাইনাল পর্যন্ত নিতে পারেনি আশরাফ হাকিমীরা। এই রেকর্ড ছুঁতে হলে এখনো অপেক্ষা করতে হবে ৪টি বছর। পেরোতে হবে অনেক বন্ধুর পথ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।