জুমবাংলা ডেস্ক : তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে বগুড়ার ধুনট সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী সাহেদ আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন অফিস। তবে এই ওয়ার্ডে স্বামীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও তার স্ত্রী নাজমা আকতারের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোকাদ্দেস আলী জানান, ধুনট সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে চালাপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল আকন্দের ছেলে সাহেদ আলী ও তার স্ত্রী নাজমা আকতার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু একটি মামলায় আদালত সাহেদ আলীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তার স্ত্রী নাজমা আকতারের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
নির্বাচন অফিস ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ২০০৭ সালের ১ আগস্ট রাতে চালাপাড়া গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী মণ্ডলের ছেলে বর্তমান ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের বাম হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয় একই গ্রামের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাহেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আদালত সাহেদ আলীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা অনাদায়ে আরও ৩০ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন। কিন্তু সাহেদ আলী তৃতীয় ধাপের ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে তথ্য গোপন করে ধুনট সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপের ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে ৬০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যসহ ৫৯২ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তার মধ্যে ধুনট সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী সাহেদ আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।