জুমবাংলা ডেস্ক: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় এবছর রবিশস্যের চাষাবাদের সাথে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে সূর্যমুখী ফুল চাষের মাধ্যমে।
এ উপজেলায় প্রায় সব ধরনের ফসল উৎপন্ন হয়ে থাকে। তবে মাটির গুণাগুণ, অবহাওয়া ও জলবায়ু সূর্যমুখী চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায়; এর চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলছে লোহাগড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে হলুদ রঙের সূর্যমুখীর চাষ মাঠের পর মাঠ। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসছে দর্শনার্থীরা। পাশাপাশি এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন অনেক কৃষক।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এবছর ২৮ থেকে ৩৫ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। কাশিপুর, ইতনা, জয়পুর, শালনগর ইউনিয়নের মাঠ জুড়ে সূর্যমুখীর হলুদ ফুলের সমারোহ। ইতনা ইউপি’র চরদৌলতপুর গ্রামের কৃষক মিনা বাওয়ালী বলেন, এ বছর আমি এক একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি।
ইতনা ইউপি’র কৃষি ব্লক সুপারভাইজার রফিকুল ইসলাম প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য সাধারণ তেলের চাইতে একটু আলাদা। কোলেস্টেরল মুক্ত প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা কমায়, কার্যক্ষমতা বাড়ায়। রান্নার জন্য সয়াবিন তেলের চাইতে সূর্যমুখী তেল দশগুণ বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ। শরীরের হাড় সুস্থ ও মজবুত করে। এককথায় সূর্যমুখীর তেল মানবদেহে মহৌষধ হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম। এতে সার ওষুধ কম লাগে। তেমন পরিচর্যাও করতে হয় না। তাছাড়া অন্যান্য তেল বীজ যেমন: সরিষা বা তিলের চেয়েও তেল বেশি পাওয়া যায়। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দু’বার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। প্রতি একর জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।