করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সম্ভাব্য চিকিত্সা নিয়ে কাজ করেছেন ব্রিটেনের একদল বিজ্ঞানী।যুবক এবং সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতিরোধক কোষ (ইমিউন সেল) ব্যবহার করে তারা এ সমীক্ষাটি সম্পাদন করেছেন।
বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সাথে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।
গ্লাসগোর নিকটবর্তী টিসি বায়োফর্মের গবেষকরা এ গবেষণাটি চালান।
তারা এর আগে ডলি নামের এক ভেড়ার ক্লোনিংয়ে এবং ক্যান্সারের চিকিত্সায় ট্রান্সফিউশন সংক্রান্ত গবেষণার কাজ করেছিলেন।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে, এটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও কাজ করবে। সে উদ্দেশ্যে থেরাপি এবং সমীক্ষা করতে সরকারের সাথে আলোচনা করছেন তারা।
আশা করা যাচ্ছে যে, জুলাইয়ের মধ্যে এনএইচএস হাসপাতালে এই চিকিত্সা সহজলভ্য হয়ে যাবে।
টিসি বায়োফর্মের সিনিয়র উপদেষ্টা ড. ব্রায়ান কেলি।
তিনি বলেছেন, ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো এমন কিছু বিকাশ করা যা আক্রান্ত কোষগুলিকে আক্রমণ করবে এবং সাধারণ কোষগুলিকে আক্রমণ করবে না।
ড. ব্রায়ান কেলি বলেন, সুতরাং আমরা যে সমাধানটি নিয়ে এসেছি তা হলো ভাইরাল সংক্রমণে শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ গুলোর ভূমিকা সঙক্রান্ত ।
তিনি বলেন, এই পরীক্ষা ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা রোগীদের ক্ষেত্রে সফলভাবে প্রযোগ করা হয়েছে।দেখা গেছে, তাদের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রসারিত হয়েছে এবং এগুলি আবার সংক্রামিত হওয়া বন্ধ করেছে।
তিনি জানান, দাতা টি-সেলগুলি স্বাভাবিক প্রতিরোধক কোষ থেকে পৃথক হয়। কারণ তারা কোষগুলির পৃষ্ঠের এলিয়েন প্রোট্রিশনের উপর ভিত্তি করে শরীরে আক্রমণকারীদের সনাক্ত করতে পারে না।
তিনি বলেন, যখন দাতা কোষগুলি কোনও ভাইরাস সনাক্ত করে, তখন এটি নির্মূলের প্রয়োজন হয়। বাকী প্রতিরোধ ব্যবস্থাতে এটি সংকেত দেওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস করতে শুরু করে।
সূত্র : ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।