জুমবাংলা ডেস্ক : নতুন ঘর তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ কদমতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- রবিউল (১৬), হেলাল (৩৫) ও বেলায়েত হোসেন(২৬)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরিফ হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, হারুন হাজীর ছেলে হেলাল দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। গত সপ্তাহে তিনি বাড়ি আসেন। এরপর নতুন পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। দুপুরের দিকে মামাতো ভাই বেলায়েত, প্রতিবেশী রবিউল ও আরিফকে নিয়ে পুরনো ঘরটি অপসারণ করতে যান। এসময় পাশে থাকা বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরের টিনে লেগে যায় এং চারজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাৎক্ষণিক স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের এখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় চারজনকে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হই তিন জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখানে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন বলেন, নতুন ঘর তুলতে গিয়ে পুরনো ঘরের টিন নামানোর সময় তিনজন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন। জেলা প্রশাসক ইতোমধ্যে নিহতদের প্রত্যেকের দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন থেকেও যোগাযোগ করেছে। হতাহতদের সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ সবসময় পাশে থাকবে বলে জানান তিনি।
বরগুনা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমরা যতটা জানতে পেরেছি, নতুন ঘর নির্মাণের জন্য পুরোনো ঘর ভেঙে ফেলার কাজ চলছিল- এই সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।